বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বরকলে ছাত্র বলাৎকার ও সরকারি গাছ কর্তনে প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

বরকলে ছাত্র বলাৎকার ও সরকারি গাছ কর্তনে প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

বরকল প্রতিনিধি। রাঙামাটির বরকলে এরাবুনিয়া আল
মাদ্রাসাতুল দারুস সুন্নাহ শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন এর বিভিন্ন অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তার সহযোগী (মাদ্রাসা শিক্ষক) কর্তৃক অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন বরকল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম ।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে
এরাবুনিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা সংঘটিত হয়। ঘটনার পরবর্তী
মোঃ আরিফুল ইসলাম (ভুক্তভোগী) নিজে বাদী হয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে বরকল থানায় মামলা দায়ের করেন।

বরকল প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম (ভুক্তভোগী) জানান, এরাবুনিয়া আল মাদ্রাসাতুল দারুস সুন্নাহ শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অনিয়ম ও অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রাস্তার পার্শ্বে লাগানো সরকারি গাছকর্তন, জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিরুদ্ধাচরণ করা, শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, গৃহকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা,ছাত্রদের দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করানো, ছাত্রদের বলাৎকার ও জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার
অপচেষ্টাসহ এসব অপরাধের বিষয়ে প্রতিবাদ ও সংবাদ প্রকাশ করায় আমার উপর মাদ্রাসার শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার শিক্ষক সুকৌশলে তার বিরুদ্ধে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করবেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন এর মাধ্যমে আমাকে ডাকেন এবং আমি মীমাংসার জন্য সেখানে গেলে আমার (মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন) তার সহযোগী কিছু বিএনপি সমর্থিত কিছু নেশাগ্রস্ত ও বখাটে মোঃ বেলাল, মোঃ বেলায়েত, মোঃ নাছির, মোঃ সোহাগ, মোঃ রুহুল, মোঃ কামাল হোসেনসহ মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন, মালেক কর্তৃক অতর্কিত হামলার শিকার হই। এতে হামলাকারীরা আমাকে বিভিন্ন
জায়গায় আঘাত করে। শুধু তাই নয় আমার সাথে থাকা
বরকল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমার বাবা ও কৃষকলীগের সদস্য মোঃ মিজানর রহমান হামলার শিকার হন এবং তাঁরাও গুরুতরভাবে আহত হন বলে ঘটনা প্রেক্ষিতে অভিযোগ তুলে ধরে গণমাধ্যমকে জানান।

এ ব্যাপারে ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশীদ
মামুন জানান, মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ হয়। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে মাদ্রাসার সামনে আলোচনায় বসি এবং বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। এসময় হঠাৎ করে ৭/৮ জন লোক অতর্কিতে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা অন্যান্যদের উপর হামলা করলে এরা ঘোরতর আহত হয়।

এইসব দেখে আমি এবং ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবু সাইদ তাদের ঠেকানো চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে বিষয়টি
অমীমাংসিত অবস্থায় থেকে যায়।

এ ব্যাপারে বরকল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনাটির বিষয়ে মোঃ আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বরকল থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

১১৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares