![ভোলা পৌরসভায় রাস্তা দখল করে মোটা অংকের চাদা আদায় তথ্য ও ছবি সংগ্রহের সময় সাংবাদকর্মীর উপর হামলা ভোলা পৌরসভায় রাস্তা দখল করে মোটা অংকের চাদা আদায় তথ্য ও ছবি সংগ্রহের সময় সাংবাদকর্মীর উপর হামলা](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2024/05/Bhola-Pc-225.05.2024.jpg)
ভোলা পৌরসভায় রাস্তা দখল করে মোটা অংকের চাদা আদায় তথ্য ও ছবি সংগ্রহের সময় সাংবাদকর্মীর উপর হামলা
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলা প্রতিনিধিঃভোলা সদর উপজেলার পৌরসভার সামনে থেকে পোষ্ট অফিস পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের প্রায় ১৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা, চকবাজারের পুল, চকবাজারের রাস্তা ও খালপাড়ের রাস্তা অবৈধ দখলে। ফুটপাতে কয়েক বছর আগেই দোকান নির্মিত হয়ে গেছে, রাস্তা দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না। রাস্তার উপড়ে বিভিন্ন প্রকারের দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাদা আদায় করা হচ্ছে। যার ফলে রাস্তা দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারন চলাফেরা কঠিন হয়ে পরেছে। প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্বে অবৈধভাবে এখানে দোকান বসছে।
২২ মে বুধবার রাতে সরজমিনে তথ্য সংগ্রহ,স্থির ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারন করতে গেলে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক মার পিট, মোবাই ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে তাকেও গ্যাসের আগুন দিয়ে পড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। ওই সময় তারা ১০/১২ জনে তার ডান হাত গ্যাসের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে শাটের কিছু অংশ পুড়ে যায়। পথচারি ও সংবাদ কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তী করে। এর বিচারের দাবীতে প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসুচী দিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান, ইজারা ছাড়াও-পৌরসভার সামনে থেকে (নতুন বাজার) পোষ্টা অফিস মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রায় দুই হাজার, চকবাজার পুলে শতাধীক, চকবাজারের রাস্তার দুই পাশে তিনশতাধীক ও খালপাড়ের তিনহাজারের অধিক দোকানপাট বসে। প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদা তোলার জন্য রয়েছে স্বশ¯্র ক্যাডার বাহিনী। প্রতিদিন আনুমানিক ৫-৭ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। ব্যবসায়ী ও পথচারীরা বলেন, ঢাকার গুলিস্থানকেও হার মানিয়েছে ভোলা পৌরসভার রাস্তাঘাট। ফলের দোকান, শাকসবজি,মাছ, চা-পান-সিগারেটের দোকান, পোশাকের দোকান, খাবার দোকানসহ এমন কোনো জিনিস নেই এখানে পাওয়া যায় না।
সরেজমিন সাবাদিক মিজানুর রহমান দেখা গেছে,তথ্য সংগ্রহ,স্থির ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারন করতে গেলে প্রথমে চাদা আদায়কারী রানা সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। তিনি তাদের সাথে আপোষ না করায় রাত সাড়ে ৯টার সময় নতুন বাজারে ফলের দোকানের সামনে ১০/১২জনে তার উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক মার পিট,মোবাই ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে,তাকে গ্যাসের আগুন দিয়ে ডান হাত এবং গায়ের শাটের কিছু অংশ পুড়িয়ে দেয়। তখন তার সামনে দিয়ে পুলিশ টিমের একটি গাড়ি যাওয়ার সময় তাদেরকে ডেকে তাকে বাচানোর আকুতি করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নেয়ার পরে তারা বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করলে, পথচারি ও সংবাদ কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তিনি সার্জারী ওয়ার্ডের ৩নং কেবিনে ২৫ মে শনিবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিকালে তাকে বাসায় নিয়ে আনা হয়। সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাাংবাদিকেরাসহ বিভিন্ন সংগঠন।
ঘর ব্যবসায়ীরা জানান, চাদা বাজেরা বিভিন্ন এলাকার মার্কেট থেকে বিভিন্ন কর্মচারীদেরকে নামিয়ে আনে রাস্তায়। দোকান দাররা জানান, এভাবে ব্যবসা করার জন্য টাকা দিতে হয় কয়েক শ্রেনীর লোকদের। ব্যবসা বুঝে টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে। এভাবেই তারা বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু যারা দোকান বসিয়েছেন,তারা নিজের পরিচয় দিয়ে কিছু বলতে চান না। আর ঘর ব্যবসায়ীরাও ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা। াার রাস্তার ব্যবসায়ীরা চাদা বাজদের বিরুদ্ধে কারো কাছে কিছু বললে ও তাদের কথার বাহিরে গেলে তাদের সব রেখে তাদেরকে তাড়িয়ে দেন। এসব রাস্তায় কোন যানবাহনকে দাড়াতে দেয়া হয়না। অটো,বোরাক ও রিক্সা আসলেই তাদেরকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বাজার করে কোন যাত্রী রিক্সায় উঠতে পারেননা। মাঝে মাঝে পুলিশ সুপারের নির্দেশে চকবাজার পুলের উপরের দোকানীদের উচ্ছেদ করতে দেখা গেছে। পরক্ষনে আবার তারা যার যার স্থানে এসে বসে পরেন।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার প্যানেল মেয়র,কাউন্সিলর কোন কথা বলতে রাজি হননি। সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৌরসভা কোন রাস্তা, পুল ইজারা দেননি। যে গুলো ইজারা দেয়া হয়েছে তার বাহিরে একদল সন্ত্রাসী রাস্তার উপরে দোকান পাট বসিয়ে চাদাবাজি করছে।