মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সঞ্জয় রক্ষিতকে গ্রেফতার ও হয়রানি করার প্রতিবাদে উদীচী বগুড়ার লালন সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত।

সঞ্জয় রক্ষিতকে গ্রেফতার ও হয়রানি করার প্রতিবাদে উদীচী বগুড়ার লালন সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত।

লালনের গানের লাইন ফেসবুকে শেয়ার করায় সঞ্জয় রক্ষিতকে গ্রেফতার ও হয়রানি করার প্রতিবাদে উদীচী বগুড়ার লালন সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত।
‘সুন্নত দিলে যদি হয় মুসলমান, নারী জাতির কি হয় বিধান’, লিখে ফেসবুকে স্টোরিতে শেয়ার করায় সঞ্জয় রক্ষিতকে গ্রেফতার ও হয়রানি করার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে লালন সন্ধ্যার আয়োজন করছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বগুড়া জেলা সংসদ।
লালন সন্ধ্যার শুরুতে উদীচী বগুড়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুস সোবহান মিন্নুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীদুর রহমান বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচনা করেন সিপিবি বগুড়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক সাজাহান সাকিদার, সিপিবি বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, বগুড়া লেখক চক্রে’র সভাপতি ইসলাম রফিক।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি প্রকাশ করেন
বগুড়া সদর উপজেলার সভাপতি শাহনিয়াজ কবির খান পাপ্পু, কৃষক সমিতি বগুড়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, দিন বদলের মঞ্চ বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক খান রনিক, ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া সদর উপজেলার সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায়, যুব ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান পারভেজ, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজ প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, “লালনের গান ফেসবুকে প্রচারের কারণে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের কথিত অভিযোগে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের হরি নারায়ণ রক্ষিতের পুত্র সঞ্জয় রক্ষিতকে ভেদরগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাইবার নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের ঘটনা নিঃসন্দেহে রহস্যজনক ও নিন্দনীয়। এ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কার্যত এ আইনকে শুধু অপপ্রয়োগই করা হয়নি বরং বাঙালীর শাশ্বত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকেও রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এর জন্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের যারা দায়ী তাদেরকে অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
বক্তারা আরো বলেন, “বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানির পাশাপাশি সারাবছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে লোকজ সংস্কৃতির ধারক-বাহক নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গেলেও প্রশাসনের হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক করাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং সংস্কৃতিবান্ধব হিসেবে দাবিদার সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের বাধপ্রদান কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের অপচেষ্টা কোনভাবেই মেনে নেবে না উদীচীসহ দেশের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা। তাই ভবিষ্যতেও এমন হয়রানিমূলক  কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে যতবার দরকার হবে, ততবারই উদীচী গান, নাচ, নাটকের মতো সৃজনশীল হাতিয়ার নিয়ে মাঠে নামবে।”
১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS