শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বগুড়ায় ভিকটিম উদ্ধারপূর্বক ০২ জন অপহরণকারীকে মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেফতার।।

বগুড়ায় ভিকটিম উদ্ধারপূর্বক ০২ জন অপহরণকারীকে মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেফতার।।

মোসাব্বর হাসান মুসা বগুড়া অফিসঃ বগুড়ায় ভিকটিম উদ্ধারপূর্বক ০২ জন অপহরণকারীকে মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেফতার করা হয।

বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন গোড়না এলাকায় মোছাঃ শিরিনা খাতুন (২৪) র‌্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়া ক্যাম্পে এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার স্বামী মোঃ শামীম মন্ডল শিবগঞ্জ থানাধীন কিচক বাজারে একটি স্টিলের বক্স তৈরির দোকানে মিস্ত্রীর কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২০ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকায় তার কাজের জন্য কিচক বাজারে যায়। একই তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় তার স্বামীর নিজ নাম্বার হতে ফোন করে বলে সে একটা বিপদে আছে, তাকে জরুরী ভিত্তিতে ১০,০০০/- টাকা পাঠাতে হবে। তিনি স্বামীর মঙ্গলের জন্য কষ্ট করে দেরি না করে ১০০০০/- টাকা বিকাশ করে দেন। কিছু সময় পরে তার স্বামী আবারো ফোন করে তাকে জানায় ৪/৫ জন ব্যক্তি তাকে অপহরণ করেছে এবং জরুরী ভিত্তিতে ২০,০০০/- টাকা পাঠাতে বলে নচেৎ তাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও ভিকটিম উদ্ধারের উদ্দেশ্যে র‌্যাবের একটি চৌকস দল তৎক্ষণাৎ অভিযানে নামে। মোবাইল নাম্বার ও বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২০ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ ২২.১০ ঘটিকায় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বাঘোপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবার কর্তৃক প্রেরিত মুক্তিপণের টাকা উত্তোলনের সময়ে হাতেনাতে মোঃ গোলাম রব্বানী (৩৮), পিতা- মোফছের আলী, সাং- বাদলদিঘী, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত গোলাম রব্বানীর দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমকে বগুড়া সদর থানাধীন মাটিডালি এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম রব্বানী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনায় সম্পৃক্ত অন্যান্যদের নাম পরিচয় প্রকাশ করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে অপহরণের আরেক সহযোগি মোছাঃ নাজু আক্তার (৩০), পিতা- মোঃ মিজানুর রহমান, সাং- ফেনিগ্রাম, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়াদ্বয়কে মুক্তিপণের টাকাসহ বগুড়া সদর থানাধীন মাটিডালি এলাকা হতে গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে মুক্তিপণের টাকাসহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয় যার প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ ২১/০৩/২৪ ধারা-৩৬৫/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। র‌্যাবের এই সাহসী অভিযান আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জেরালো ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

৩১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares