সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কিশোরগঞ্জে কর্মসৃজনের অতিদরিদ্র শ্রমিকদের আহাজারি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে কর্মসৃজনের অতিদরিদ্র শ্রমিকদের আহাজারি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ থেকে ফিরে এসে সৈয়দপুর থেকে দুলাল সরকার ; জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজনের শ্রমিকরা প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার দুই মাস গত হলেও এখন পর্যন্ত মজুরি না পাওয়ায় অনেক শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়ে, মজুরির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে আহাজারি করে বেড়ালেও উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তামাশা শুরু করেছে বলে অভিযোগ মিলেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ উক্ত কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত শ্রমিকরা বিল না পাওয়ার এমনটি ঘটেছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ১৭২৩ জন শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/মেম্বাররা শপথ গ্রহণের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে নানা অজুহাতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বেশির ভাগ পুরাতন অসহায় হতদরিদ্র শ্রমিকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিকদের নাম তালিকা ভুক্ত করেন। একারণে নতুন পুরাতন শ্রমিকদের মাঝে প্রতিনিয়ত বাক বিতন্ডের সৃষ্টি হয়। তবে, নতুন শ্রমিকদের পক্ষে কতিপয় বর্তমান মেম্বাররা অবস্থান নিলে পুরাতন শ্রমিকরা আক্ষেপে ফেটে পড়েন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত শ্রমিকদের মধ্যে সেলিনা, মাহমুদা, মনিজা, আঞ্জুয়ারা, এনেছা, মজিয়া, মোফাকারুলসহ আরো অনেক অভিযোগ করে বলেন, আমরা আমাদের মজুরি না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না। এ ব্যাপারে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকারের অফিসে গেলে তাকে না পাওয়ায় এবং পরে তাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোনও রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে পিআইও অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, ওই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থেকে ০২ উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে আসলেও বহাল তবিয়তে চাকুরি করে আসছেন। এটিও দেখার কেউ নেই।

১৫৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares