শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিরাজগঞ্জে ভূমিহীনদের কাঁচা বোরো ধান কেটে নিয়েছে জোতদার বাহিনী

সিরাজগঞ্জে ভূমিহীনদের কাঁচা বোরো ধান কেটে নিয়েছে জোতদার বাহিনী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  :  সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভূমিহীন কৃষকদের উপর হামলা করে তাদের রোপনকৃত কাঁচা বোরো ধান কেটে নিয়ে গেছে জোতদার বাহিনী। হামলায় ৩ ভূমিহীন কৃষক আহত হয়েছে। এঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে  জানাযায়, রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের সোনাডাঙ্গা বিলে ২৮.৩৪ একর সরকারী খাস জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে ২০০৮ সাল থেকে চাষাবাদ করে আসছিলো স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকরা। কিন্তু সরকারী এই খাস জমি স্থানীয় জোতদার ইসরাইল গ্রুপের লোকজন নিজেদের দাবী করে আসছিলো। এনিয়ে ভূমিহীন কৃষকদের সঙ্গে জোতদার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবছর সরকারী এই খাস জমিতে বোরো ধানের আবাদ করে ভুমিহীন কৃষকরা। ইতিমধ্যে ধানের চারা বড় হয়েছে। ধানের শীষও এসেছে। এমতবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল জোতদার গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে ভূমিহীনদের রোপন করা কাঁচা বোরো ধান কাটতে শুরু করে। খবর পেয়ে ভুমিহীনরা জমিতে গেলে তাদের উপর হামলা করে জোতদার বাহিনী। হামলায় ৩ ভূমিহীন আহত হয়। ভূমিহীনদের দাবী প্রায় ৮০ হাজার টাকা মূল্যে কাঁচা ধান কেটে নিয়ে গেছে জোতদার বাহিনী।
এঘটনায় জোতদার বাহিনীর ফরহাদ (৬০), ছোবাহান (৫৫), সাইফুল ইসলাম (৪৫), গোলাম (৬০), নাজমুল  (৩৫), নাসির (৪০)সহ, ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভূমিহীন রহমত আলী বলেন, সোনাইডাঙ্গা বিলে ২৮.৩৪ একর সরকারী খাস জমি রয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে সরকারী এই খাস জমিতে আমরা চাষাবাদ করে আসছে ভূমিহীনরা। ২৮.৩৪ একর জমির মধ্যে ১৮.৯১ একর জমি জোতদার ইসরাইল গ্রুপের লোকজন রেকর্ড বইয়ের পাতা টেম্পারিং করে ডুপ্লিকেট পাতা ভলিয়ম বইতে সংযুক্ত করে রাখে। যার কোন ভিত্তি নেই। বাকি ৯.৪৩ একর জমি এখনও সরকারী ১নং খাস খতিয়াতে রয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জোতদারদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। তারা জোর পূর্বক ভূমিহীনদের রোপন করা কাঁচা বোরো ধান জোর করে কেটে নিয়ে গেছে। এসময় তারা ভূমিহীনদের উপর হামলাও করেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। জোতদার বাহিনী একাধিবার ভূমিহীনদের উপর হামলা করেছে।
জোতদার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য  শরিফুল ইসলাম বলেন, ভূমিহীনদের অভিযোগ সত্য নয়। আমরা আমাদের জমির ধান কেটেছি এতে সমস্য কোথায়। এখানে ভুমিহীনদের কোন জায়গা নেই। জমি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের মামলা চলমান রয়েছে। সরকার যদি মামলায় জেতে এবং ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেয় তাহলে তারা এই জমিতে আসতে পারবে। তার আগে না।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ভূমিহীনদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে জোতদাররা দাবী করেছে রোপন করা বোরো ধান তাদের। এজন্য তারা কেটে নিয়ে গেছে। তবে  অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS