বৃহস্পতিবার- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন..🌻

তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন..🌻

ডাকনাম কৃষ্ণা | ভালোনাম রমা | পাবনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস নাইনে পড়ার সময় শ্রেণীকক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় একবার বলেছিলেন ‘আমি এমন নাম করব যে, পৃথিবী চিরকাল আমায় মনে রাখবে।’ এর কিছু বছর পড়েই তিনি নামলেন সিনেমায় | দিদি উমার খুব কাছের ছিলেন তার বোন | বোনকে দিদি জিজ্ঞেস করলেন ‘তুই সিনেমায় নামলি, অভিনয়ের কী জানিস?’ দিদিকে বলেছিলেন ‘না দিদি, পয়সার খুব দরকার, সিনেমা করতেই হবে। চেষ্টা করে দেখি, কতটা পারি।’ বাকিটা ইতিহাস | তাঁর শেষ ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৮-এ। তার পর কেটেছে অনেক বছর। দিন পাল্টেছে। ইন্ডাস্ট্রির চেহারা বদলেছে। কিন্তু আজও বাঙালি তাঁর সিনেমা দেখে | তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন..💫🌻

ঋত্বিক ঘটকের ছবিতে তিনি কোনও দিনই অভিনয় করেননি। ঋত্বিক ঘটক তখন অসুস্থ | ভর্তি মানসিক হাসপাতালে | এই সময়ে তার ভরন পোষন ,খাওয়া দাওয়া ও চিকিৎসার ভার নিয়েছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন | নিজের হাতে রান্না করে টিফিন বক্সে সেই খাবার নিয়ে নিজে সেই খাবার পৌঁছে দিয়ে আসতেন তিনি |

ষাটের দশকে তাঁকে মুখ্য চরিত্রে রেখে “দেবী চৌধুরানী” ছবিটি করতে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায় | সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম শর্ত ছিল “দেবী চৌধুরানী” ছবির শুটিং চলাকালীন সুচিত্রা সেন অন্য ছবিতে অভিনয় করতে পারবেন না | মুহূর্তেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন তিনি | জানিয়েছিলেন যে বা যাঁরা তাকে নায়িকা বানিয়েছেন তাদের বঞ্চিত করে শুধুমাত্র এই ছবিতে কাজ করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে | ছবিটি শেষমেশ আর করেননি সত্যজিৎ রায়…🌿

অন্তরালে চলে যাওয়ার পর ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক সুচিত্রা সেন-কে বারবার বলতেন যে — “রমা তুমি কেন ছবিতে আর কাজ করো না তুমি কাজ করতে চাইলে বাড়ীতে পরিচালক প্রযোজকের লাইন পড়ে যাবে..!”
উত্তরে স্মিত হেসে মহানায়িকা জবাব দিতেন — “ওসব আমার আর ভালো লাগে না তাছাড়া আমি ঠাকুরের আশীর্বাদ পেয়েছি যা অমৃত আর যে অমৃত খেয়েছে সে কি দোকানের লাল চা খেয়ে তৃপ্তি পাবে..?”

আর মহানায়ক সুচিত্রা সেন সম্পর্কে বলেছিলেন– “আমার উত্তমকুমার হওয়া হত না রমা না থাকলে ও আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহস দিয়ে আজকের আমার আমি কে গড়ে তুলেছে..|”❤️

আজ মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন | আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি…🌷

 

৩৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares