মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বদরগঞ্জে চাঁদ কুটির ডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের  শহীদ মিনার নির্মান দাবী।

বদরগঞ্জে চাঁদ কুটির ডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের  শহীদ মিনার নির্মান দাবী।

রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর  : রংপুরের বদরগঞ্জে উপজেলার পৌরশহরে চাঁদ কুটির ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুপরিচিত ও স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ।বিদ্যালয়টি চারপাশে সবুজে সমারোহ আচ্ছাদিত।বিদ্যালয়টি কোলাহল মুক্ত পরিবেশে অবস্হিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ চমৎকার। শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০০ জন।১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।কিন্তু ৩১বছর পেরিয়ে গেলো বিদ্যালয়টি শহীদ মিনারে নির্মানে কেউ এগিয়ে আসেনি ।অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনপ্রতিনিধিগন বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলে তা বাস্তবায়িত হয় না  । তাই একুশে ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবসে শিক্ষার্থীরা ১কিলোমিটার দূরে গিয়ে শহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকে।ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদ ও শহীদ মিনার নির্মানের ইতিহাস গুরুত্ব ও তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে একুশের চেতনা ধারন ও বিকাশে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাভাষা স্বাধীনতা, বাঙালির সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে শহীদ মিনারে বিকল্প নেই।
ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুর বানু বলেন,শহীদ মিনার না থাকায় আমাদের অনেক দূরে যেয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়। তাই স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের একটি শহীদ মিনারে নির্মানের জন্য দাবি জানাচ্ছি। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা বেগম বলেন,অন্য বিদ্যালয়ে মাঠে শহীদ মিনার আছে কিন্তু আমাদের এখানে নাই।তাই আমাদের বিভিন্ন দিবসে শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে কষ্ট হয়।তাই আমাদের একটা দাবি তাড়াতাড়ি একটি শহীদ মিনার চাই।
চাঁদ কুটির ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ওবায়দুল হক বলেন,বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার থাকলে ভালো হতো।ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন দিবস শহীদ  স্মরনে কিছু জানতো।এবং তাদের স্বাধীনতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন হতো।  এবিষয়ে চাঁদ কুটির ডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়রের প্রধান শিক্ষিকা ছালেমা খাতুন চিনু বলেন,আমি শহিদ মিনার নির্মানের জন্য মেয়রসহ একাধিক সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিকট ধরনা দিয়েছি কিন্তুু কোন কাজ হয়নি।বিদ্যালয়ের ফান্ড সংকুলান থাকায় শহীদ মিনারে নির্মানে সম্ভব হচ্ছে না।
বদরগঞ্জ  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা শহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক বেসরকারি ও সরকারি বিদ্যালয়ে   নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মান করেছে।ঐ বিদ্যালয়েও নিজস্ব টাকায় শহীদ মিনার নির্মান করতে হবে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট বলেন, বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীর সঙ্গে কথা বলে তারপর বলছি।
১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS