মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে হলুদ রঙে ছেয়েগেছে সরিসা ক্ষেত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে হলুদ রঙে ছেয়েগেছে সরিসা ক্ষেত

মোঃ ইব্রাহীম, স্টাফ রিপোটার, নাচোল-চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চল নাচোলে হলুদ রঙে ছেয়েগেছে সরিসা ক্ষেত। তীব্র শীতেও সরিসা ক্ষেতে মৌমাছির গুনগুন শব্দে এক মায়াবী আবেশের সৃষ্টি করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর সরিসার বাম্পার ফলনের আশা করেছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সলেহ আকরাম জানান, গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সরিসার আবাদ হয়েছিল ৮১০০ হেক্টোর। সরিসার ভাল বাজারমূল্য পাওয়ায় চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে নাচোল উপজেলায় ৯০৫০ হেক্টোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে। তিনি আরও জানান, এবছর সরকারী প্রনোদনার আওতায় উপজেলায় সাত হাজার সরিসা চাষীকে এক কেজি করে সরিসাবীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বীনামুল্যে প্রদান করা হয়েছে। উত্তর চন্ডিপুর বøকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, তার বøকে এবছর ১২২০ হেক্টোর সরিসা আবাদ হয়েছে। উপজেলার ভুজইল গ্রামের কৃষক আব্দুল বারি জানান, তিনি এবছর ৪০ বিঘা ও নাসিরাবাদ গ্রামের আব্দুস সালাম ৩৫ বিঘা সরিসা আবাদ করেছেন। এবছর রবি মৌসুমে উপজেলায় বারি-১৪ জাতের ৭৯২৫, বারি-৯ জাতের ১২৫, বারি-১৭ জাতের ১৫০, বীনা-৯ জাতের ১০০, বীনা-১১ জাতের ১০, টরে-৭ জাতের ১২৫, টরে-১৫ জাতের ৬১৫ হেক্টের জমিতে সরিসার আবাদ হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে মৌচাষী ঝিকড়া গ্রামের খলিলুর রহমান, সোনাইচন্ডি গ্রামের খাইরুল ইসলাম ও নেজামপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান সরিসা ক্ষেতের আশেপাশে তাদের মৌবাক্স রেখে মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এতে করে সরিসার পতঙ্গ পরাগায়ন কাজে সহায়ক হচ্ছে। তবে তীব্র শীতে মৌমাছি বের হতে পারছেনা, তাই পতঙ্গ পরাগায়ন ব্যবহত হচ্ছে। তবে আবহা অনুকুলে এবছর সরিসার বাম্পার ফলন আশা করেছে কৃষকরা।

১২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares