শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর কমতে শুরু করেছে- ডুবে যাওয়ার জমি ধান ঘরে তোলার চেষ্টা, ধান শুকাতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী

কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর কমতে শুরু করেছে- ডুবে যাওয়ার জমি ধান ঘরে তোলার চেষ্টা, ধান শুকাতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী

কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি  :  নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় উব্দাখালী নদীর পানি মঙ্গলবার বিকালে  বিপদসীমার শূণ্য ১২ সে.মি. উপরে থাকলেও গত সোমবার একই সময়ে বিপদসীমার ১৫ সে.মি. উপরে ছিল।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কলমাকান্দায় প্রায় পাঁচশো হেক্টর  জমির ফসল ডুবে গিয়েছিল। ডুবন্ত  ক্ষেতের জেগে ওঠা ধান গত দুদিনের রোদে তা কাটতে এবং বৃষ্টির আগে কেটে আনা ধান ও খড় শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক-কৃষাণী।

তবে কয়েকদিনে বৈরি আবহাওয়ায় কেটে আনা ধান শুকাতে না পেরে স্তুপকৃত ধানের রং নষ্টসহ আংশিক ধানের চারা গজিয়ে গেছে। এতে যেসব কৃষকেরা ধান স্তুপ করে রেখেছিল তাদের ৩০ ভাগ ধান নষ্ট হবার সম্ভাবনা এবং উপজেলায় ৮৫ ভাগ বোরো ধানা ইতিমধ্যে কর্তনের কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে, গত দুদিনের মতো আবহওয়া অনুকূলে থাকলে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে বাকি ধান কর্তন শেষ হবার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা ।

কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের ঘাসপাড়া গ্রামের মুনির জানিয়েছেন, তার ১০ একরের মতো জমির পাকা বোরো ধান ডুবে যায়। পানি কমাতে ডুবন্ত ধানগাছ এখন শীষের নিচে আসায় কাটতেছি। কাটা ধান নৌকায় রেখে ঘরে তোলতে হচ্ছে। এর পাঁচ- সাতদিন আগে কেটে আনা ধান বৃষ্টির জন্য শুকাতে না পারায় স্তুপকৃত ধানে চারা গজিয়ে গেছে বলেন তিনি।

কলমকান্দা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন , মঙ্গলবার কলমাকান্দা সদর, রংছাতি ও বড়খাপন তিন ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে দেখেন ডুবন্ত ধান জেগে ওঠায় কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় যেসব কৃষক কাটা ধান স্তুপ করে রেখেছিল তাদের ধানের রং নষ্টসহ আনুমানিক ৬০ ভাগ ঘরে তুলতে পারবে। পানি বাড়ায় উপজেলায় প্রায় পাঁচশো একর জামির ধান তলিয়ে গিয়েছিল। গত দুদিন ধরে রোদ পাওয়াতে কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান ও খড় শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে ডুবন্ত ক্ষেতের খড় না পাওয়া এবং কাটা ধানের খড় বৈরি আবহওয়ায় শুকাতে না পারায় গবাদি খাদ্য মজুদে বিপাকে পড়বে কৃষকেরা।

এদিকে কলমাকান্দা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ) তানবির আহমেদ মুঠোফোনে জানিয়েছেন , উজানের ঢলে পানি বাড়ায় উপজেলায় ১১৫ টি পুকুর ডুবে গেছে । এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৮/৯ লক্ষ টাকার। উপজেলায় মোট ছোট-বড় চার হাজার ২৪০টি পুকুর রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি কাজ চলমান আছে।

নেত্রকোণার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন, পানি বাড়ায় কলমাকান্দার পাউবোর কোন ফসল রক্ষা বাঁধের ক্ষতি হয়নি ।

৯৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares