বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলা সার্ভেয়ার ফিরোজের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

ভোলা সার্ভেয়ার ফিরোজের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার-বোরহানউদ্দিন উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তার দাবীকৃত ঘুষের টাকা না পেলে ভূমি মালিকদেরকে নানা ভাবে হয়রানীর করার হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ। তিনি দির্ঘদিন যাবৎ এ অনিয়ম ও ঘুস বানিজ্য করে চলেছেন বলে জনপ্রতিনিধিরাও জানান। ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভুগীরা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানান।

উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের, ৮নং ওয়ার্ডের ভুমিহীন আঃ খালেক অভিযোগ করেন, কুতুবা মৌজায় ১ন খতিয়ানের ৫১ শতাংশ জমিতে ঘর, পুকুর, বাগান করে স্ব-পরিবারে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত বসবাস ও জমি ভোগ করে আসছেন। তার কোন সম্পত্তি নাই। একটি প্রভাবশালী পক্ষ সার্ভেয়ার মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে গোপনে ওই জমি ১১২ বি.এন/২০০৫-২০০৬ নামে বন্দোবস্ত দিয়ে দেন। ওই জমির বন্দোবস্ত কেইসটি বাতিল করে ভুমিহীন দখলদারকে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক এসিল্যান্ডকে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিলে, এসিল্যান্ড ঘুষখোর সার্ভেয়ারকে তদন্তের ভার দেন। শিয়ালের কাছে মোরগ জমার মতো। তদন্তের কয়েক মাস পরে সার্ভেয়ার জেলা প্রশাসক ও এসিল্যান্ডের কথা বলে ভুমিহীন আঃ খালেকের কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। তিনি গরিব মানুষ হওয়ায় অনেক কষ্ট করে তাকে ১০ হাজার টাকা দেন। ১০ হাজার টাকা নিয়ে তিনি আরো ২০ হাজার টাকার জন্য কোন সিদ্ধান্ত দেননি। পরে ভুমিহীর খালেক বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল সাহেবকে অবহিত করলে তিনি সার্ভেয়ারকে ভুমিহীন দখলদারকে জমিটি দিতে বলেন। ১৯ মাস পরে ভুমিহীন খালেকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম। তিনি ঘুষ নেয়া ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেননি খালেককে। তিনি তার টাকাসহ ক্ষতিপুরন দাবী করেন।

দেউলা ৭নং ওয়ার্ডের শামীম আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার এমপি ৩২৮/২১ মামলার তদন্ত সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আমার বাবা নিজে ওই ভূমিতে দোকান ঘর নির্মান করে ৪৭ বছর যাবত ভোগ করে আসছেন। ২৪৮ নং দলিল মূলে আমি নিজে জমির মালিক। প্রমাণ হিসেবে কাগজ পত্র তার কাছে দিলে তিনি তা উল্ল্যেখ না করে তা গোপন করে ফেলেন। তার মিথ্যা প্রতিবেদনের কারনে আমরা নানা ভাবে হয়রানী শিকার হচ্ছি।

এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর ৩১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বিষয়টি দেখতে বলেন। আমি এখনও এ বিষয় সমাধান পাইনি। এরকম অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ভুক্তভুগীরা। অভিযোগের বিষয়ে সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম জানান, আমি কাজ করি অনেক তাই আমার শত্রæ ও অনেক। তবে অভিযোগ সবই মিথ্যা। উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে-সার্ভেয়ারের অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করে বিচার দাবী করছেন ভুক্তভুগীরা।

২৪৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares