বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তেঁতুলিয়ায় অত্যন্দ্র প্রহরী হয়ে সীমান্ত সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি

তেঁতুলিয়ায় অত্যন্দ্র প্রহরী হয়ে সীমান্ত সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি

জুলহাস উদ্দীন, তেঁতুলিয়া পঞ্চগড়  প্রতিনিধি : উৎসবমুখ আয়োজনো তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধায় উদযাপিত হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)  দিবস। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজিবির ১৮ ব্যাটালিয়নের আয়োজনে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি আইসিপি পয়েন্টে দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুতেই শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল যুবায়েদ হাসান। এ সময় ভারতের পক্ষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির ১৭৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী এসএস সিরোহী। এছাড়াও উভয় দেশের বিজিবি-বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক।
পরে দু’দেশের ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন, জাতীয় পতাকা নামানো, মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী বিনিময় করা হয় উভয় দেশের বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তাদের হাতে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লে.কর্ণেল যুবায়েদ হাসান বলেন, আজ বিজিবি দিবস। ২২৮ বছরের গৌরবময় দিন। এ দিবস উপলক্ষে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন (১৮ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাবান্ধা আইসিপি এবং ১৭৬ ব্যাটালিয়ন ফুলবাড়ী আইসিপির মধ্যে দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিজিবি-বিএসএফের যৌথ আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দু’দেশের ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করায় উভয় দেশের প্যারেড দলের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
কর্ণেল যুবায়েদ হাসান বলেন, এই বাহিনী সর্বপ্রথম ১৭৯৫ সালে ৪৪৮ সদস্য নিয়ে রামগর লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে যাত্রা শুরু করে। কালের বিবর্বতনে এই বাহিনী ফ্রন্টিয়ার্স গার্ড, বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ, ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এবং বাংলাদেশ রাইফেলস নামে পরিবর্তিত হয়ে আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নামে অভিহিত হয়েছে। ২২৮ বছরের ইতিহাস ও গৌরব ঐতিহ্যের অংশীদার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের অত্যন্দ্র প্রহরী ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সাথে পালন করে আসছে।
এই বাহিনী সীমান্ত রক্ষা, মাদক, নারী ও শিশু পাচার এবং চোরাচালান অন্যান্য সীমান্ত অপরাধ দমনে দৃঢ় ভ’মিকা রেখে চলেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বমোট ১১৯ জন খেতাব প্রাপ্ত হন, তার মধ্যে ২জন বীর শ্রে, ৮জন বীর উত্তম, ৩২ বীর বিক্রম ও ৭৭ জন বীর প্রতীক খেতাব অর্জন  করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও গৌরবময়।
২০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS