বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রিত আয়রন ব্রিজের মালামাল জনতার হাতে আটক

ঝালকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রিত আয়রন ব্রিজের মালামাল জনতার হাতে আটক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে পুরান আয়রন ব্রিজের লোহার মালামাল বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ট্রাকে করে বরিশাল নেওয়ার পথে স্থানীয় জনতা দেড়টন লোহার মালামাল আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে মালামাল জব্দ করে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর লোহার মালামাল বিক্রির জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে মালামাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
জানা যায়, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে নয়াখালের সেতু ও আলমগীর হাওলাদারের বাড়ির সামনে খালের দুটি আয়রণ ব্রীজ পুরনো হওয়ায় ভেঙে যায়। ২০২১ সালে নতুন করে সেতু দুটি নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি। পুরনো সেতু দুটি ভেঙে লোহার দেড়টন মালামাল ইউপি চেয়ারম্যানের ছিলারিশ গ্রামের বাড়িতে হেফাজতে রাখা ছিলো। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান ওই মালামাল গোপনে নলছিটি শহরের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মো. মুনছুরের কাছে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেন। মুনছুর একটি ট্রাক নিয়ে সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে লোহার মালামাল নিয়ে পোনাবালিয়া খেয়াঘাটে আসলে স্থানীয় জনতা ট্রাকটিকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ট্রাকের মালামাল জব্দ করে।
ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মো. মুনছুর বলেন, পোনাবালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে বলেছে, কিছু মালামাল বিক্রি করার আছে। আমরা আসলে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় তিনি লোহার মালামাল বিক্রি করেন। আমি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোজন ও পুলিশ এসে ট্রাক আটক করে। আমি তাদের কাছে সত্য কথা বলেছি।
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নান্না খলিফা বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান পুরনো সেতুর লোহার মালামাল তাঁর বাড়িতে রাখে অবৈধভাবে। কোন রেজুলেশন ছাড়াই তিনি বাড়িতে এ মালামাল রাখেন। কাউকে না জানিয়ে গোপনে দেড়টন লোহার মালামাল বিক্রি করে দেন। এটা অন্যায় করেছেন চেয়ারম্যান, আমি তাঁর বিচার চাই।

গ্রাম পুলিশ মিন্টু হাওলাদার বলেন, মালামালগুলো চেয়ারম্যানের বাড়িতে ছিল। কিভাবে এগুলো বাইরে আসল, তা আমার জানা নেই। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খান বলেন, আমার কাছে কোন সেতুর মালামাল নেই। আমি এগুলো বিক্রিও করিনি। একটি চক্র আমাকে ফাঁসানো চেষ্টা করছে।

ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সরকারি সেতুর লোহার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সত্যতা যাচাই করার জন্য এসে ট্রাকটি আটক করেছি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS