পর্যটকবাহী বোটে বিদেশি মদ বিয়ার বিক্রেতা সীমান্তের পেশাদার তিন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে থানায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গুয়ার হাওড় কেন্দ্রিক পর্যটকবাহী বোটে বিদেশি মদ বিয়ার বিক্রেতা সীমান্তের পেশাদার তিন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো,তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম লাকমার পল্লী চিকিসক ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির জিলানী, একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আউয়াল মিয়া, সামসুদ্দিনের ছেলে মনু মিয়া।
সোমবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীক পর্যটকবাহী হাউস বোটে টেকেরঘাটের নিলাদ্রীতে আসা কিছু সংখ্যক নেশাগ্রস্থ পর্যটকদের নিকট বিদেশি মদ -বিয়ার গত কয়েক বছর ধরেই পারিবারীক ব্যবসা হিসাবে সব ধরণের বিদেশি মাদক বিক্রয় করে আসছিলো আব্দুল কাদির জিলানী, আউয়াল, মনু নামে ওই তিন পেশাদার মাদক কারবারি।
উপজেলার লাকমা গ্রামের বাড়িতে পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিসের ছেলে আব্দুল কাদির জিলানী তার অপর দুই সহযোগিদের নিয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিত্বে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম রবিবার ভোররাতে অভিযানে নামেন।
অভিযানে আব্দুল কাদির জিলানীর শয়ন কক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৬০ বোতল বিদেশি মদ ,বিয়ার পুলিশ জব্দ করে। এ সময় পেশাদার মাদক চোরাকারবারি আব্দুল কাদির জিলানীকে গ্রেফতার করলে পুলিশের নজর এরিয়ে কৌশলে অপর দুই মাদক চোরাকারবারি আউয়াল ও মনু দ্রুত পালিয়ে যায়।
সোমবার তাহিরপুর থানায় আউয়াল ও মনুকে পলাতক এবং আব্দুল কাদির জিলানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিস্ট ধারায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।