মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চলছে বেশুমার কোচিং বাণিজ্য

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চলছে বেশুমার কোচিং বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার,গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চলছে বেশুমার কোচিং বাণিজ্য। অধিকাংশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক বা মালিক সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। কেউ নেপথ্যে থেকে আবার কেউ সামনে থেকে এ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের আগস্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা জারি করে।

নীতিমালা অনুযায়ী সরকারী-বেসরকারী বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার কোন শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। এমনকি শিক্ষকেরা বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারেও পড়াতে পারবেন না। তবে দিনে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। আর সরকার-নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতরই পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ কোচিং করানো যাবে।

তবে এ জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে হচ্ছে তার উল্টো।আজ ২৮ শে সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটির দিনেও শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজারে “এইস এ কে একাডেমি” নামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য করে চলেছেন।

এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোচিং পরিচালনা করে আসছেন। আর এটা বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছেন, যা পরিবারের উপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে এবং এ ব্যয় নির্বাহে অভিভাবকগণ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া অনেক শিক্ষক শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে কোচিং এ বেশি সময় ব্যয় করছেন এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।এইস এ কে একাডেমিতেই ১১টি শ্রেণী কক্ষে আজকে ছুটির দিনেও কোচিং চলতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা শাহীন সুলতানা জানান, তিনি এস এস সি পরিক্ষার্থী ও পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কোচিং পরিচালনা করছেন।কতজন ছাত্র ছাত্রী কোচিং এ আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এক দেড়শোর মতোন।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল আমিন কে ফোন দিলে ফোনে পাওয়া যায়নি।

২১৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares