বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাথার ওপর ঝুকি নিয়ে চলছে কাজ

মাথার ওপর ঝুকি নিয়ে চলছে কাজ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ;  ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে পড়েছে।স্যাঁতসেঁতে ভবনটি জরাজীর্ণ । ভবনের ভিতরে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা যে বোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বলছি  দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা ডাকঘর ভবনের কথা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এভাবেই ভবনটিতে চলছে কার্যক্রম।

ডাকঘরে কর্মরতরা জানান, বছর পাঁচেক আগে থেকেই ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া শুরু হয়। এর পর থেকে ক্রমেই পুরো ভবন স্যাঁতসেঁতে ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। তবু প্রতিদিন ভবনের ভেতরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিঠি পাঠানো ও টাকা লেনদেনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা  করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় আতংকিত থাকেন সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগন। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি স্থানীয়সহ সংশ্লিষ্টদের ।

সরেজমিন দেখা গেছে, ভবনের ছাদের বেশিরভাগ জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। বের হয়ে গেছে মরিচা ধরা রড। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন ডাকঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

ডাকঘরে সেবা নিতে আসা আইনুল হক বলেন, ‘ভবনের ভেতরে ঢুকে ভয় লাগছে। কখন যে ধসে পড়বে, সেই আশঙ্কায় আছি।’

পোস্টাল অপারেটর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘বর্তমানে ভবনটির ভঙ্গুর অবস্থা। যেকোনো সময় ধসে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে। কাজের মধ্যে থেকেও মাথার ওপরে ছাদের দিকে তাকাই। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাজ শেষে বের হতে পারলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। চাকরি করি, তাই তেমন কিছু করারও নেই।’

 আমিনুল ইসলাম নামে এক মেইল ক্যারিয়ার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ভবনটি জরাজীর্ণ। এখন আরও নাজুক হয়ে পড়েছে, বৃষ্টির দিনে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।’

ডাকপিয়ন জয়নাল আবেদীন জানান, ‘১০-১২ বছর যাবৎ এখানে কাজ করছি। কাজের সময় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। একদিন টেবিলের ওপরে ছাদের পলেস্তারার বড় অংশ খসে পড়েছিল।

ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার বাবুল হোসেন বলেন, ‘ভবন জরাজীর্ণ হলেও কাজ করতে হয়। সম্প্রতি একজন ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও একজন ইঞ্জিনিয়ার ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন। পোস্ট অফিসের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহী করতে চাইলে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন করে নির্মাণ জরুরি। তা না হলে একসময় সেবাগ্রহীতারা মুখ ফিরিয়ে নেবে।

৯০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares