মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাণীশংকৈল তীরনই নদী থেকে দুই শিশুসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার

রাণীশংকৈল তীরনই নদী থেকে দুই শিশুসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার

রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:-নিখোজের একদিন পড়ে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কাসুয়াডাঙ্গা তীরনই নদী থেকে দুই শিশুসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হলেন ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩০) ও শিশু সন্তান শাওন(৮) এবং সাফাত(৪)।
নাসিমার স্বামী আব্দুর রহিম এটিকে আত্নহত্যা দাবী করলেও, নাসিমার মা খালেদা বেগম এটিকে হত্যাকান্ড বলে দাবী করছেন। খালেদা বেগমের দাবী তার জামাই একজন জুয়ারু। জুয়া খেলে টাকা পয়সা নষ্ট করে। জুয়ার টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায় অত্যাচার করতো। এ কারনেই সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল।
পারিবারিক ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নাসিমা ও তার দুই শিশু সন্তানসহ তীরনই নদীর ধারে ছাগল চড়াতে যায়। সেখানেই (নদীতে) তারা দুপুরের দিকে গোসল করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। পরে সন্ধা হলেও নাসিমাসহ তার দুই শিশুপুত্র বাড়ীতে না ফেরায় নাসিমার স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন খোজাখুজি শুরু করেন।
দীর্ঘ রাত পর্যন্ত নদী এলাকাসহ বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের বাড়ীতে খোজাখুজি শেষে পরের দিন(বুধবার) সকালে নাসিমার শ্বশুর সামসুল হক তীরনই নদীর ধারে নাসিমাসহ তার দুই শিশু সন্তানকে নদীর বালু’র মধ্যে আটকা থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়।
পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় মরদেহ নদী এলাকা থেকে তুলে আনে । মরদেহ উদ্ধারে সময় মায়ের শাড়ির আচল দিয়ে দুই শিশু সন্তানের শরীর বাধা ছিল বলে স্খানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে মৃত নাসিমার মা খালেদা খাতুন এটিকে হত্যা কান্ড দাবী করলেও নাসিমার স্বামী আব্দুর রহিম ও শ্বশুর সামসুল হক ঘটনাটি আত্নহত্যা বলে দাবী করছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা নাকি আত্নহত্যা!
জানতে চাইলে কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল বলেন, গত মঙ্গলবার থেকেই শিশুসহ তার মা নিখোজ হলে রাতে নদীতে অনেকবার খোজাখুজি করা হয়। বুধবার সকালে দুই শিশুসহ তার মায়ের লাশ নদী থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
রাণীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত মহসিন আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

১১৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares