শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
‘দলীয় সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ – ঠাকুরগাঁয়ে ‘মির্জা ফখরুল’ 

‘দলীয় সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ – ঠাকুরগাঁয়ে ‘মির্জা ফখরুল’ 

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যে কথাটা সব সময় বলে আসছি, সেটা হলো, আমাদের প্রধান যে দাবী সেটা হচ্ছে দলীয় সরকারের অধিনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
গাইবান্ধার নির্বাচনে সেটাই প্রমানিত হয়েছে, একটি উপ নির্বাচন জাতীয় সংসদের। সেখানে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারার কারনে তারাই নির্বাচনকে বন্ধ করেছে। আমরা যে কথাটা বলে সে কথাটা প্রমাণিত হলো। ‘
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কি হলো না হলো সেটাতে আমাদের আগ্রহ নেই, আমাদের আগ্রহ একটাতেই সেটা হলো, শুধু নির্বাচন সিস্টেমটা নয়, নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, সমস্ত দেশকে যারা বিভাজন করেছে, গণতন্ত্রকে যারা হরন করেছে, রাষ্ট্রকে যারা আজকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করেছে তাদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনই একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়েই একমাত্র পথ বলে আমরা মনে করি। সে কারনেই আমরা আমাদের আন্দোলন শুরু করেছি। ‘তিনি আরও বলেন, ‘সরকার নতুন একটি সাকুর্লার দিয়েছে। যে ২৯টি বিভাগ ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের ১৫ ধারায় নিয়ে আসা হলো। যে গুলো রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিভাগ। এ ধরনের ইমপটেন্ট বিভাগগুলো আছে সেগুলোকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে এই যে, এই বিভাগগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকরা ইচ্ছা করলেই কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না। অথবা এ সকল বিভাগের ভেতরের খবরগুলো আর সাংবাদিকরা সেখানে যেতে পারবে না। এটা যে কত বড় সর্বনাশ হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। এতে করে প্রমানিত হয়েছে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ‘
গতকাল চট্রগ্রামে আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেখানে যে জনতার ঢল নেমেছে। লাখো মানুষের যে সমাগম হয়েছে, সে সমাবেশ থেকে আন্দোলন শরু হলো। এখান থেকেই সারা বাংলাদেশে তা ছড়িয়ে যাবে। সেখান থেকেই এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ– সভাপতি বীর মু্ক্তিযোদ্ধা নুর করিম, মো: আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: পয়গাম আলী, মো: জাফরুল্লাহ, ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা দলের  সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, সাধারণ সম্পাদক মোছা নাজমা পারভিন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৩৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares