সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাণীশংকৈলে ফসলি জমির মাঠ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

রাণীশংকৈলে ফসলি জমির মাঠ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

মাহাবুব আলম রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া বাজার সংলগ্ন রাস্তার ধারের ধান ক্ষেত থেকে  বৃহস্পতিবার(২৭ অক্টোবর)  এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে হাটাহাটকরার সময় রাস্তার ধারে ধান ক্ষেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দখ কছথ চারি । এসময় তারা স্থানীয় লোকজন ও পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানার ওসি এস এম জাহিদ ইকবালসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সি আই ডি) বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেছেন। ওই শিক্ষক ভরনিয়া চেংবাড়ী সম্পদ বাড়ী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে হোসাইন আলী। তিনি পেশায় একজন কোচিং শিক্ষক ।
পরিবারের দাবী পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। নিহতের বোন রুমি, ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, তাদের গ্রামেরই অনুকুল ও ইশার সাথে তার ভাইয়ের মামলা ছিল। (ইশা ও অনুকুল আপন ভাই) অনুকুলের মেয়ের সাথে তার ভাই হোসাইনের প্রেম ভালোবাসা থেকে বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়ে মেনে নেইনি অনুকুল। পরে মামলা করে হোসাইনের কাছ থেকে তার মেয়েকে তালাক নেয় অনুকুল। কিন্তু হোসাইনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা।নিহত হোসাইনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, কিছুদিন আগে তাকে রাস্তায় আটকিয়ে অনুকুল হুমকি দিয়ে বলেছিল সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই হোসাইনকে
দেখে নিবে সে।
নিহতের বোন রুমি জানান, কোচিং সেন্টারে কিছুদিন আগে পড়ায় গাফিলাতির কারণে এক শিক্ষার্থীকে শাসন করেছিল হোসাইন। সে কারণে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছিল ভরনিয়া এলাকার মুসা মাষ্টার।নিহতের বোন দাবী করেন অনুকুল,ইশা ও মুশা মাষ্টার মিলে তার ভাইকে হত্যা করে মরদেহ ধান খেতে ফেলে রেখেছে। সে তাদের বিচার দাবী করেন।নিহত হোসাইনের মা হোসনা খাতুন বলেন, কিছু দিন আগে এক শিক্ষার্থীকে পড়া গাফিলাতির কারণে শাসন করার অভিযোগে মুসা মাষ্টার মারপিটের বদলে মারপিট দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
তিনি দাবী করেন অনুকুল,ইশার সাথে ছিল মামলা তাই অনুকুল,ইশা ও মুসা মাষ্টার মিলে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য,অভিযুক্ত মুশা মাষ্টার ইতিমধ্যে একটি হত্যা মামলার প্রথম আসামী হিসাবে দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলেন। অভিযুক্ত অনুকুল ও ইশার বক্তব্য নিতে তাদের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি, তবে আরেক অভিযুক্ত মুশা মাষ্টার বলেন, কোচিংয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের কারণে ওই শিক্ষার্থীর বাবা সফিকুল তার কাছে বিচার নিয়ে এসেছিল। তবে কোচিং এর বিষয়ের কারণে সেই বিচার তিনি করতে চাইনি,তিনি চেয়ারম্যানকে দেখিয়ে দিয়েছিল। হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, কাউকে তিনি হুমকি দেননি।
ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, নিহত কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারপিটের একটি বিচার এসেছিল। তবে সেটি স্থানীয় বিএসসি শিক্ষক মোশাররফ মিমাংসা করে দিয়েছে।
ওসি এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, মরহেদের ডান হাতে ও বুকে ক্ষত পাওয়া গেছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই আসল রহস্য জানাযাবে। তাছাড়া নিহত শিক্ষকের পরিবার মৃতের জন্য দায়ী করে যাদের নাম বলছে তাদের বিষয়েও আমরা খোজ খবর নিচ্ছি।
২০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS