বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বস্তি এলাকার ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বস্তি এলাকার ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) এর বস্তি এলাকার অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের শতকরা ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা। এছাড়া বয়স ও উচ্চতা বিবেচনায় রয়েছে বেশি ওজনের শিশুর সংখ্যা, যা উদ্বেগজনক। এসব এলাকায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। গতকাল সোমবার দুপুরে রসিকের সভা কক্ষে বাংলাদেশ নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টিহীনতা যাচাই’ এর ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ জানান, চলতি বছরের ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিসেফের সেভ দ্যা চিলড্রেনের সহযোগিতায় অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়। নগর ভবনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা সেবা গ্রহীতাসহ নগরীর বিভিন্ন বস্তি এলাকার ৪ হাজার ৪০৬ জন শিশুকে নিয়ে এ জরিপ কার্যক্রমে ৩৮ দশমিক ৬০ ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার, ২৮ দশমিক ৩৬ ভাগ শিশু ওজনে বেশি এবং ৩৩ দশমিক ০৪ ভাগ শিশু স্বাভাবিক শিশু হিসেবে চিহ্নিত হয়। এছাড়া ৭২জন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশু চিহ্নিত করা হয়। এসব শিশুর সুস্থতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন।
ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের এ জরিপ থেকে প্রতীয়মান হয় যে নগরীর বস্তি এলাকায় ৫ বছরের নিচের শিশুদের শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। তাদের অধিকাংশ অপুষ্টি কিংবা বেশি ওজন হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। এ থেকে বোঝা যায় নগরীতে এখনও শিশুরা জেন্ডার বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
এছাড়া ৩০০ জন অভিভাবকের উপর শিশুর পুষ্টিকর খাবার প্রদানের বিষয়টি নিয়ে জরিপ করা হলে, তারা বেশির ভাগই এসব বিষয়ে জানেন না বলে তথ্য উঠে এসেছে। তবে জরিপের শুরু এবং শেষে শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীন মিঞা, সচিব উম্মে ফাতিমা, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ পলাশ কুমার রায়, মেডিতেল অফিসার ডাঃ সাদিয়া আফরিন সন্ধি, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুতপা দেব ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares