শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৈয়দপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

সৈয়দপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

দুলাল সরকার, সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি : সৈয়দপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স স¤প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) বাস্তবায়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের খোয়া, বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাইলিং পিলার। মাটিতে পিলার গাঁথতে গিয়ে গড়ে তিনটি পিলারের মধ্যে একটি ভেঙে পড়ছে। ইতোমধ্যে মাটির নিচে দেয়া ৫০টি পিলারের মধ্যে ১৮টিই ভেঙে গেছে। অবশিষ্ট পিলারগুলোর একই অবস্থা। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বহুতল উপজেলা কমপ্লেক্স ও একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণে ২৩৪টি পিলার পাইলিং করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা কমপ্লেক্সে ১০৪টি ও অডিটোরিয়াম নির্মাণে ৬০টি পিলার ব্যবহার করার কথা রয়েছে সিডিউলে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, দুভাবে পাইলিংয়ের কাজ করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো প্রি-কাস্ট, অপরটি কাস্ট-ইন সিটু পদ্ধতি। এখানে প্রি-কাস্ট পদ্ধতিতে করা হয়েছে পিলার বসানোর পাইলিং। কাজ শুরুর আগে মাঠপর্যায়ে সয়েল (মাটি) টেস্টসহ সব ধরনের কাজ শেষে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজের দূরপত্র আহŸান করা হয়। সয়েল টেস্ট করার জন্য আইডিয়াল ডিজাইন অ্যান্ড কনসালটেনসি নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তাদের দেয়া রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাইলিংয়ের কাজ করছে বলে জানানো হয়। তবে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, এ কাজের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আই ট্রেডিং অ্যান্ড কোং হলেও সাইটে নেই কোনো সিটিজেন চার্টার। এমনকি পাইলিংয়ের পিলার নির্মাণে যে বালু, সিমেন্ট, খোয়া ও রড ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের বলে একাধিক অভিযোগে জানা গেছে। এমনকি পিলার তৈরির সময় ঢালাইয়ের মিশ্রণেও করা হয়েছে গাফিলতি। ৪০ ফুট লম্বা পিলার তৈরি করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে সাড়ে ৩৭ ফুট। এক্ষেত্রেও অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ইইউসিপিডব্লিউ-১৮৮ নম্বরের প্যাকেজের এ কাজটি বিগত ২০২২ সালের ২১ আগস্ট শুরু করে চলতি বছরের ২০ নভেম্বর শেষ করার কথা। সেই হিসাবে কাজ শেষ করার সময় আছে আর মাত্র তিন মাস। অথচ কাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। ঠিকাদার মো. ইদ্রিস আলী নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রি-কাস্ট পাইলিংয়ে ৫টির মধ্যে ১টি ভেঙে যেতেও পারে। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলী এমএম আলী রেজা রাজুর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিন কারণে এমনটি হতে পারে। সয়েল টেস্টের সমস্যা, রিগ মেশিনের সমস্যা ও কাস্টিংয়ের সমস্যার যে কোনো একটি হতে পারে তবে জাস্টিফাই না করে সুনির্দিষ্টভাবে ভুলের জায়গাটি নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে পত্র পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলেই যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ১০৫ টাকা।

৩৩২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares