শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৈয়দপুরে পুত্রবধুকে নির্যাতন যৌতুকের দাবীর অভিযোগ

সৈয়দপুরে পুত্রবধুকে নির্যাতন যৌতুকের দাবীর অভিযোগ

দুলাল সরকার, সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি : সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল কাছারি পাড়ার মোহাম্মদ আলী নামের এক কথিত হোমিও চিকিৎসক ও কবিরাজ তার পুত্রবধুকে নির্যাতন করে দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেছেন বলে এমন অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত এলাকার মোহাম্মদ আলীর পুত্র নূর নবী ইসলাম (২৪), এর সাথে একই এলাকার মিন্টু মামুদের কন্যা মোছাঃ মীম আরা (১৮) এর সাথে দীর্ঘ ৪ বছর প্রেমের সম্পর্ক এবং উভয়ের সম্পর্ক ক্রমে গত ০৮/০৫/২০২৩ ইং তারিখে দুপুরে নীলফামারী নোটারী পাবলিক কার্যালয় কোর্টে বিবাহের এফিডেভিট করেন এবং একই দিনে সন্ধ্যায় স্থানীয় নিকাহ ও রেজিষ্টার মাধ্যমে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন। এদিকে কনের পিতা গরীব ও বরের পিতা ধনী ও প্রভাবশালী হওয়ায় বরের পরিবার এ বিবাহ এ মেনে নিতে নারাজ। এক পর্যায়ে বরকে বিভিন্ন কুপরামর্শ দিয়ে বিয়াকে অস্বীকার করতে বলেন, ফলে বর তার পরিবারের চাপে পড়ে তার ভালবাসার স্ত্রীকে অন্য ছেলের সাথে বিবাহ করতে বলেন। এক পর্যায়ে বর নূর নবী ইসলাম তার স্ত্রী মোছাঃ মীম আরার সাথে কোন ধরনের খোঁজ খবর না রাখায় বাধ্য হয়ে কনে মোছাঃ মীম আরা গত ০৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখে দুপুরে বর নূর নবী ইসলামের বাড়িতে গেলে বরের পিতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কনেকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং এক পর্যায়ে কনের চুলের মুষ্টি ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া কনের পিঠের উপর এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি এবং গালে চর থাপ্পর মারিতে থাকেন এবং দশ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করেন এবং বাড়ী থেকে বের করে দেন। পর কনে নিরুপায় হয়ে পিতার বাড়ীতে ফিরে আসেন। এ নিয়ে কনে ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি সমাধানের জন্য ছেলের বাবাকে বলেছি। কিন্তু তিনি কোন কর্ণপাত করেন নি। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কনের পক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বরের পিতা মোহাম্মদ আলী ও বর নুর নবী ইসলামকে পরিষদে আসার জন্য নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিষদে আসেন নি। তবে, ওই এলাকার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই বরপক্ষের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোক রয়েছে বিধায় এজন্য তারা কাউকে তোয়াক্কা করছেন না।

৩৯৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares