সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পঞ্চগড়ে ২০ মেট্রিক টন সরকারি চাল ব্যবসায়ীর গুদামে, ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিল খাদ্য বিভাগ

পঞ্চগড়ে ২০ মেট্রিক টন সরকারি চাল ব্যবসায়ীর গুদামে, ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিল খাদ্য বিভাগ

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে মিলেছে ২০ মেট্রিক টন সরকারি চাল।
বুধবার ০৬সেপ্টেম্বর দুপুরে জেলা শহরের আব্দুস সাত্তার নামের এক চাল ব্যবসায়ীর আড়ৎ থেকে‘‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’’বস্তা বন্দী অবস্থায় সরকারি চাল পাওয়া যায়।
পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যবসায়ীর গুদাম ও দোকানটি ঘিরে রাখে।
এর মধ্যেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা, পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের ট্রেজারার আব্দুল সামাদ পুলক ও পঞ্চগড় সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
পরে তারা ব্যবসায়ীর দেয়া কিছু কাগজপত্র দেখে কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে ওই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাল এর বিষয় যানতে চাইলে এবং ছবি তোলার সময় চ্যানেল এসের পঞ্চগড় প্রতিনিধি আব্দুর রউফের উপর চড়াও হয় আব্দুস সাত্তারের চাচা শাহীনসহ কয়েক জন চাল ব্যবসায়ী।
এ সময় তারা ওই গণমাধ্যমকর্মীকে লাঞ্ছিত করলেও নিরব ছিলো পুলিশ সদস্যরা।
ওই ব্যবসায়ী জানান, নাটোরের গুরুদাসপুরের গৌতম ট্রেডার্স থেকে ২০ মেট্রিক টন সরকারি চাল কিনেছেন তিনি। চালগুলো টিআর কাবিখার চাল বলেও জানান ।
তার গুদামে খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে ৬৬৭ টি বস্তা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত বস্তায় চাল বিক্রি অবৈধ হলেও খাদ্য বিভাগ কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ওই ব্যবসায়ীকে চাল বিক্রির অনুমতি দিয়ে চলে যান।
এদিকে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সরকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স গৌতম ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার শ্রী গৌতম কুমার শীল মুঠোফোনে জানান এই সরকারি চাল আমি কাবিখা,টিয়ারের চাল খরিদ করে পঞ্চগড় মেসার্স সাত্তার ট্রেডার্সে এর কাছে‘‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’’৬৬৭ টি বস্তা সরকারি চাল বিক্রি করেছি।তবে নিউজ না করলে ভাল হয়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন,আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি চাল গুলো সরকারি। টিআর, জিআর ও কাবিখার চাল।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আমরা কাগজপত্র যাচাই করে দেখেছি কাগজ ঠিক রয়েছে।আপনারা আপনাদের মতো যাচাই করে দেখেন।
এবিষয়ে পঞ্চগড় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল হক খন্দকার বলেন,আমাদের গুদাম থেকে কোন চাল বেড়িয়ে গেলে আমাদের আর কোন দায় দায়িত্ব নেই। কোন গুদামে সরকারি বস্তায় চাল পাওয়া গেলেও আমাদের দেখার কোন বিষয় নেই বলে জানান তিনি।

৩৩৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares