বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলমাকান্দায় আকস্মিক ঝড়ে ঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত, মৎস্যজীবীর লাশ উদ্ধার

কলমাকান্দায় আকস্মিক ঝড়ে ঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত, মৎস্যজীবীর লাশ উদ্ধার

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আকস্মিক ঝড় ও বৃষ্টিতে বসতঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার রাত পৌনে ৩টা থেকে এই ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ৪০ মিনিট। ঝড়ের কবলে পড়ে অনিল দাস (৪৫) নামের এক মৎস্যজীবি সোনাডুবি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

অনিল দাস কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে। অপরদিকে মাছ ধরতে গিয়ে পোগলা ইউনিয়নের বেখরীকান্দা শুনই গ্রামের মৃত মোতালেব মিয়ার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) বানবিলে ঝরের কবলে পড়ে মারা গেছেন।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার, ইউএনও আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপসহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান ঝড়ে নিহত আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীর হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ছাড়াও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৫০টি পরিবারের লোকজনের মধ্যে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ঝড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক শ গাছ উপড়ে পড়ে। কিছু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বাড়িঘরের ওপরে পড়লে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের বেশ কিছু তারের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে। আর এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে যায়।

নিখোঁজ অনিল দাসের বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের একটি ডুবুরি এসে নিখোঁজ অনিল দাসকে উদ্ধারের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ঝড়ে বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার সাহেবকে নিয়ে পরিদর্শণ করছি। আর ঝড়ে মৃত- আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রীর হাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালু আছে।

৮৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares