শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

শ্রাবণের বৃষ্টিতে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

মোঃ ইব্রাহীম, স্টাফ রিপোটার- চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চল নাচোলে শেষ আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমনের ক্ষেতে রাসয়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আষাঢ়ের শেষে ও শ্রাবনের প্রথমাংশে আবাদ শুরু হলেও শ্রাবণ মাসে অনাবৃষ্টি ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিএমডিএ)র গভীর নলকুপ (ডিপের) পানির তীব্র সেচ সংকটে আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যায়। দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও ডিপের পানির সেচ সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদেরকে। বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ(বিএমডিএ)’র গভীর নলকুপের অপারেটরদের সাথে জমিতে সেচ দে’য়া নিয়ে প্রতিনিয়তঃ কৃষকদের গন্ডগোল হয়েছে। বিএমডিএ’র নাচোল জোনের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে তীব্র খরা মোকাবেলা করতে যেয়ে স্কীমভূক্ত কৃষকদের সাথে ডিপ অপারেটরের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। স্কীমভূক্ত কৃষকদের নিকট থেকে অনেক ডিপ অপারেটরের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অপারেটরের সাথে কৃষকদের বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নীচে নেমে যাবার ফলে বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের প্রায় ৩০ শতাংশ অকোজো হয়ে পড়েছে। কিন্তু সচল গভীর নলকুপগুলিতেও আগের তুলনায় পানি কম উঠছে। বৈশ্মিক জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব কৃষি আবাদে পড়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি দপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭হাজার ৬শ’৩০ হেক্টোর। চলতি আমন আবাদে কৃষকরা সেচ নিয়ে শংকায় ছিল। তবে এ পর্যন্ত মোট আবাদের ৯৫ শতাংশ আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম জানান, এ উপজেলার জন্য চাহিদার বিপরিতে রাসায়নিক সার পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণই পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদি। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কোথাও কোন সার সংকট নাই বলে কৃষকরা স্বীকার করেছেন। এদিকে শ্রাবণের শেষ মুহুর্তে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা এখন ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

 

৬৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares