সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নাচোলে আমন খেতে ইঁদুরের আক্রমনে দিশেহারা কৃষক মাঠে মাঠে কৃষি কর্তাগণ

নাচোলে আমন খেতে ইঁদুরের আক্রমনে দিশেহারা কৃষক মাঠে মাঠে কৃষি কর্তাগণ

মোঃ ইব্রাহীম, স্টাফ রিপোর্টার ; চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র আঞ্চল নাচোলে আমন ধানের সবুজ মাঠে ঢেউ খেলানো ধান ক্ষেত দেখে কৃষকের মন জুড়িয়ে গেলেও ইঁদুরের আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পেড়েছেন কৃষকরা। খেতে ইঁদুরের আক্রমন ঠেকাতে টোটকা পদ্ধতি ব্যবহার করছে কৃষকরা। কোনরকম বালাইনাশক দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা। অনেকে টোটকা(লোকমুখে প্রচলিত) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষকরা ধান ক্ষেতে কলার বাইগড়্যা, পলিথিন, ইঁদুর মারা বিভিন্ন কোম্পানীর (কীটনাশক) বিষ, ও বিষটোপ ব্যবহার করছে। ছুটির দিনেও ইঁদুরের আক্রমন প্রতিরোধ করতে মাঠে মাঠে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তাগণ। ইঁদুর নিধনের সাথে সাথে পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে ক্ষেতের মধ্যে পার্চি পদ্ধতি (কঞ্চি গ্রোথিত করা)প্রয়োগ ও ধান ক্ষেতে ফাঁড়ি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ধানের থোড় এসগেছে। এ সময় পচন ও কারেন্ট পোকার আক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে, তাই কৃষকদেরকে পরিমিত ও সঠিক সময়ে কীটনাশক বিশেষ করে জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ করার নিজ নিজ বøক পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

এদিকে ইঁদুরের আক্রমনে দিশেহারা সদর ইউনিয়নের হাঁকরইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান,তার তিন বিঘা জমিতে ইঁদুরের আক্রমন ঠেকাতে কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছেনা। ঝিকড়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান জানান, ইঁদুরের আক্রমনে সিনজেনটা, বায়ার কোম্পানীর বিষ এমনকি সুরমা বিষ দিয়েও কাজ হচ্ছেনা। নেজামপুরের ইসমাইল হোসেন জানান, ইঁদুরের ধানকাটা প্রতিরোধ করতে যতরকমের বিষ লাগে সবই দিয়েছি কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা। সূর্যপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হক বলেন ক্ষেতে পানির মধ্যেও ইঁদুর ধান কাটছে। ক্ষেতের মধ্যে কলাগাছের সোথুড়কা, পলিথিন, সুতলী ও বিষটোপ দিয়েও কাজ হচ্ছেনা।

উপজেলা ককৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ জানান, চলতি আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ৫২০ হেক্টোর ধরে সারের জন্য চাহিদাপত্রের বিপরিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ব্রী-৭৫,৮০, ৮৭ ও বীনা-১৭ জাতের এবং সেই সাথে ব্রী-৫১ ও পারিজা জাতের প্রায় ২৩ হাজার হেক্টোর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শমসের আলী জানান, ধানের বাজারমূল্য ভাল থাকায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টোর আম বাগানেও ধানের আবাদ হয়েছে। তাই এবছর ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ তাঁর ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(ফেসবুক)’র মাধ্যমে “কৃষি পরামর্শ” দিয়ে যাচ্ছেন।

২২৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares