চেতনাশক খাইয়ে পরকীয়া প্রেমিক শাহিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে প্রেমিকা!
ইসাহাক আলী, নাটোর, ১১ আগষ্ট’২৩-নাটোরের বড়াইগ্রামে নিখোঁজের ৫ দিন পর পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ির আঙ্গিনায় প্রেমিক শাহীন শাহকে পানির সাথে চেতনা নাশক পান করিয়ে অচেতন করার পর তারই বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরকীয়া প্রেমিকা হোসনে আরা। পরে ১৪ বছরের সন্তান আশরাফুল ইসলাম ওরফে ইমনকে সাথে নিয়ে মাটির ১০ ফুট নিচে পুঁতে রাখে।
আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম পিপিএম এই তথ্য জানান। এ সময় তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার বড়াইগ্রামের জলন্দা গ্রামের ওই বাড়িতে ১০ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। নিহত শাহীন শাহ নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার আলী শাহ্র ছেলে। ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত শাহিন নাটোর কোর্টে উকিলের মুহুরী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় প্রেমিকা জলন্দা গ্রামের ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী হুসনেয়ারা খাতুন (৩২) কে আটক করে পুলিশ।
পরে জানা যায়, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ৩ সন্তানের জননী হোসনেয়ারার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে শাহিন শাহ। গত ৬ মাস ধরে তাদের এ সস্পর্ক চলছিলো। কিন্তু এর মধ্যে তার মনোমালিন্য হওয়ায় মোবাইলে ডেকে আনার পর গত ৯ আগস্ট রাতের কোন এক সময় প্যান্টের বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয় প্রেমিক শাহিন শাহকে। পরে তার মরদেহ হার ১০ বছরের সন্তানের সাহায্য নিয়ে লাশ টিউবওয়েলের পাশে ২জন শ্রমিক দিয়ে করা ১০ ফুট গর্তে পুঁতে রাখে। এঘটনায় তার ১৪ বছরের ছেলেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্রমিক ২জনকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নিহত শাহীনের চাচাতো ভাই আনোয়ার শাহ জানান, গত সোমবার থেকে শাহীন নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও না পেয়ে মঙ্গলবার তারা নাটোর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং নাটোর র্যাব ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সুপার মাইনুল ইসলাম. বড়াইগ্রাম সার্কেল এএসপি শরীফ আল রাজিবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।