মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজাপুরে মহাসড়কে খানাখন্দ-গর্ত, দুর্ভোগ, ঘটছে দুর্ঘটনা!

রাজাপুরে মহাসড়কে খানাখন্দ-গর্ত, দুর্ভোগ, ঘটছে দুর্ঘটনা!

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ;  ঝালকাঠির রাজাপুরের খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি থেকে বড় আকারের খানাখন্দ ও গর্ত। বষ্টিতে এসবখানা খন্দে পানি কর্মমাক্ত বালু-পাথর মিশ্রিত পানি জমে তা ছিটকে পথচারিদের পোষাকসহ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছে অনেকেই। বৃষ্টির এ সময়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ছোট-বড় যাত্রীবাহি গাড়ির যন্ত্রাংশ। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাগড়ি বাঁশতলা এলাকায়সহ বিভিন্ন স্থানের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি থেকে বড় আকারের খানাখন্দ ও গর্ত। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মোটর সাইকেল ও ইজিবাইক বেশি দুর্ঘটনায় পরছে। বাস চালক মাহবুব, আলমগীর ও সাইদুল জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দ্রুত সময়ে যাত্রী পৌছে দিতে হচ্ছে কিন্তু সড়ক এভাবে ভাঙার কারনে গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে এবং সময় ও গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া সড়কে খানাখন্দ থাকায় ৩ চাকার ছোট যান সড়কের পাশে যেতে যাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। মোটর সাইকেল চালক কালাম, মিজু ও ফিরোজ জানান, একে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে পানিজমে থাকায় গর্ত বোঝা যাচ্ছে না। এতে করে অপরিচিত চালকরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহতও হচ্ছেন। ইজিবাইক চালক, সালাম, হাসিফ ও আল আমিন জানান, সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। খানাখন্দে গাড়ির চাকা পরে আটকে যায়, স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ির যন্ত্রাংশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কটি পদ্মা সেতুর চালু হবার পর গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে উপজেলার কয়েক কিলোমিটারের সড়কের বিভিন্ন অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া পানি ছিটকে রাস্তার পাশ থেকে শিক্ষার্থীসহ যাতায়াতকারীদের পোষাক নোংড়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় প্রাইভেট, ট্রাক ও বাস দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার হালকা ও ভারী যানবাহন মাসখানেক ধরে ভোগান্তিতে রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে বালু ও পাথর ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জরুরি মেরামত করলেও কোনো সুফল মিলছে না। বরং তাতে বালু ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জানতে চাইলে মুঠোফোনে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এখন সড়কের বিভিন্ন স্থানের অল্পকিছু এলাকায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে তা বেড়ে যাচ্ছে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শিগগিরই ক্ষগ্রিস্থ সড়ক সংষ্কার করে দেয়া হবে।

৭০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares