শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলমাকান্দায় সেই আমেনা ও মনিকার পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসন

কলমাকান্দায় সেই আমেনা ও মনিকার পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসন

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :  নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মানসিক ও শারিরিক অসুস্থ সেই আমেনা’র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আমেনা’র খোঁজখবর নিতে মঙ্গলবার বিকেলে ছুটে যান ইউএনও আসাদুজ্জামান।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ্রদেব চক্রবর্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুমন পাল, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একেএম মোছা, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ।

এরআগে এ নিয়ে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানের।

পরে মঙ্গলবার বিকেলে আমেনাদের বাড়িতে গিয়ে আমেনা’র চিকিৎসার ব্যবস্থা করে উপজেলা প্রশাসন। তাদের থাকার জন্য দেওয়া হবে জায়গাসহ সরকারি ঘর। ভাইকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি জায়গায় একটি দোকান ঘর। ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে মনিকার পড়াশুনারও খরচ। এসময় কথা হয়, অসুস্থ আমেনার বোন মনিকা, ভাই আল আমিনসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে। তারা জানান, আমেনা তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ১৫ বছর আগে তাদের বাবা মো. জসিম উদ্দিন তাদেরকে নানার বাড়ি লেংগুরার উদাপাড়া গ্রামে রেখে ঢাকায় চলে যান। ৫ বছর আগে মা মমতাজ বেগমও মারা গেছেন। এরপর আমেনা মানসিক ও শারিরিকভাবে অসুস্থ পড়েন। চিকিৎসা করানোর জন্য নেওয়া হয় দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসক পরামর্শ দেন আমেনাকে নিয়ে ঢাকায় যেতে । কিন্তু পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয় কবিরাজের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় তার। কিছুদিন পর সে মানসিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলে। বর্তমানে বিছানায় মৃত্যুযন্ত্রায় কাতরাচ্ছে।

মনিকা ও তার ভাই আল আমিন বলেন, বোন আমেনা বিছানায় মৃত্যুযন্ত্রায় কাতরাচ্ছে। এ অবস্থা আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। বর্তমানে তাকে নিয়ে আমরা অনেক কষ্টে আছি । এখন প্রশাসনের মাধ্যমে বোনের চিকিৎসা, থাকার জন্য বাড়ি, দোকান ঘর ও পড়াশোনার ব্যবস্থা হওয়ায় খুবই ভালো লাগছে আমাদের এজন্যে আমরা সরকারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। এ নিয়ে সাংবাদিকবৃন্দ প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ইউএনও আসাদুজ্জামান বলেন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমার নজরে আসে। পরে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ স্যারের নির্দেশ মোতাবেক আমেনাদের বাড়িতে গিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা, মনিকার পড়াশোনার খরচ ও তাদের থাকার জন্য সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক.স্বচ্ছলতা ফেরাতে আল আমিনকে লেংগুরা বাজারে সরকারি জায়গায় একটি দোকান ঘরেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

৬২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares