বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ৬ত কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ৬ত কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন

বিটন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।উন্সিলের ব্যানারে প্রধান শ্লোগান ছিল দাসত্বের চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়, শাসকগোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র নসাৎ করে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হোন শ্লোগান দিয়ে। গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম-এর ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত ২১ ও আজ ২২ জুলাই দুই দিনব্যাপী খাগড়াছড়িতে উক্ত কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জিকো ত্রিপুরাকে সভাপতি, বরুন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও বিপুল চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে ।

কাউন্সিলে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা-মহানগর থেকে প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিনিধি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপিডিএফ, শ্রমজীবী ফ্রন্ট, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের নেতৃবৃন্দ।

আজ বিকেলে সাড়ে ৫টায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা কর্তৃক দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ১ম অধিবেশন শুরু হয়। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে আত্মবলিদানকারী সকল বীর শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ এর সংগঠক কৃপাধন চাকমা, পার্বত্য নারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা, পিসিপির সভাপতি অংকন চাকমা, ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা। এছাড়াও সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি নতুন জয় চাকমা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক থুইক্যসিং মারমা।

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কার্যক্রমকে বিকশিত ও গতিশীল করতে হবে। নতুন নেতৃত্বকেও গতিশীল হয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য যুব সমাজকে সংগঠিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বক্তরা বলেন, বর্তমান নেতৃত্বের নানা দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নতুন নেতৃত্বকে সে সকল দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে তুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে, দায়িত্বশীল হতে হবে। যুব সমাজকে সংগঠিত করে শাসকগোষ্ঠীর অন্যায় দমন-পীড়ন, নির্যাতন, অব্যাহত ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতনসহ সকল ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

৩২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares