মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হয়না জাতীয় সংগীত, হাজিরা ডাকা হয় তিনটায় পানছড়ির বড় পানছড়ি দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

হয়না জাতীয় সংগীত, হাজিরা ডাকা হয় তিনটায় পানছড়ির বড় পানছড়ি দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি’২০২৪ : প্রাত্যাহিক সমাবেশ তো দুরের কথা হয়না জাতীয় সংগীত। শিক্ষার্থী হাজিরা ডাকা হয় বিকাল তিনটায়। দু’একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে নিজের ইচ্ছামতো। শিক্ষকদের এমনি অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন কমছে উপস্থিতির হার। অভিভাবকদের মনে হতাশার চিহ্ন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শুক্কুর আলী, স্থানীয় আবদুল জলিল ও জহিরুল ইসলামসহ অনেকেই জানালেন এই অনিয়মের ঘটনা।

স্থানীয়দের মাধ্যমে ২৭’ফেব্রæয়ারী বেলা আড়াইটায় বিদ্যালয়ে গিয়ে মিলে ঘটনার শতভাগ সত্যতা। উপস্থিত ৪৬জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আবদুল আলম। স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখে তিনি ছাত্র হাজিরা নিয়ে ক্লাশে ক্লাশে হয়ে পড়েন হাজিরা ডাকায় ব্যস্ত। অসহায়ত্ব স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন সাড়ে আটটা কি নয়টায় বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে নিজেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সব কাজ করেন। বিদ্যালয় বন্ধ করে বিকাল চারটায় বাড়ি ফিরেন তিনি। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৬ জন। এর মাঝে একজন দশটায় এসে ১১টায় চলে গেছে, ২জন ট্রেনিংয়ে, ১ জনের স্বামী অসুস্থ, অন্য একজন আছে ডেপুটেশনে। তবে সব সময় সবাইকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যথাসময়ে হাজির থাকতে নির্দেশনা দেন বলেও জানান।

বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী জানালেন, জাতীয় সংগীত হয়না, হাজিরা ডাকে তিনটায় ও শিক্ষকেরা ঠিকভাবে বিদ্যালয়ে আসেনা।

জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার বড় পানছড়ি দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান ১নং লোগাং ইউপির ১নং ওয়ার্ডে। বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৪ জন। ১৯৮০ সালে স্থাপিত হওয়া এই বিদ্যালয়ে বাংঙালী, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মিলনমেলার এই বিদ্যালয়টি শিক্ষকদের অবহেলার কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এডিন চাকমা জানান, অভিযোগের খবরটি পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক সরকারী নীতিমালা মোতাবেক জবাব চাওয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

১২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS