শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইউপি আ’লীগের সম্মেলন ব্যানারে নাম নেই ময়নার, সমালোচনার ঝড়   

ইউপি আ’লীগের সম্মেলন ব্যানারে নাম নেই ময়নার, সমালোচনার ঝড়   

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ব্যানারে নাম নেই  তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কলমা ইউনিয়ন পরিষদ দুই বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ভাইয়ের। গত মঙ্গলবার(১১জুলাই)বিকালে দরর্গাডাঙ্গা স্কুর এ্যান্ড কলেজ মাঠে কলমা ইউনিয়ন আ’ লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসম্মেলন নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ওই ইউপিতে নৌকা প্রতিক নিয়ে সব গুলো কেন্দ্রেই পরাজিত হওয়া মাইনুল ইসলাম স্বপন।
তানোর উপজেলা আ’ লীগের বিতর্কিত সভাপতি মাঈনুল ইসলাম স্বপন ওই সম্মেলনে  কলমা ইউনিয়নকে দু’ভাগে ভাগ করে ২ জন সভাপতি ২ জন সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেছেন। ময়না ভাই যখন মৃত্যু মুখে উনাকে হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল তখন কলমা ইউনিয়ন আ’ লীগের সম্মেলন চলছিলো। যে মানুষটা উনাদের জন্য এতোকিছু করলো সেই মানুষটার জন্য এই সম্মেলনে একটি বিশেষ দোয়া মানাজাত পর্যন্ত করা হলো না।
অথচ ময়না ভাই রাজশাহী মেডিকেলে যখন ভর্তি ছিলেন তখন কলমার এই মানুষ গুলোই ময়না ভাইকে দেখতে গিয়েছিন, তাদের অনেকেই অবশ্য প্রমান হিসেবে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন। তাহলে কি ময়না ভাইয়ের জন্য উনাদের হৃদয়ে এতোটুকুও ভালো বাসা নাই, যদি তাই না হবে তবে কেন ব্যানারে ময়না ভাইয়ের নাম উনারা লিখলেন না। কেনো উনারা ময়না ভাইয়ের জন্য সম্মেলন অনুষ্ঠানে একটি বিষেশ দোয়া মোনাজাতের ব্যবস্থা করলেন না।
রাজশাহীসহ তানোর উপজেলা ও কলমা ইউপি বাসীসহ সকলের মনে এমন দানা প্রশ্নসহ সমালোচনা শুরু হয়েছে। সকলেই বলছেন, বর্তমান উপজেলা আ’ লীগের সভাপতি মাঈনুল ইসলাম স্বপন এমপিকে বিতর্কিত করতে এবং ক্ষতি করতে এমপি বিরোধী শিবিরের সাথে গোপন আঁতাত রেখে ময়না ভাইয়ের সাথে এমপির দ্বন্দ সৃষ্টির লক্ষেই এমনটি করেছেন।
অনেককেই মন্তব্য করতে শোনা গেছে,  রাজনীতিতে চিরস্থায়ী যেমন বন্ধু নেই তেমন চিরস্থায়ী শক্রুও নেই। রাজশীতি মানে হচ্ছে সার্থপরোতা। যে যখন লংকায় যাচ্ছেন সেতখন রাবন সাজার চেষ্টা করছেন। তারা, বলছেন নৌকা ফুটোকারী খাদেমুন্নবী বা্ু চৌধুরীর ঠাই ওই মঞ্চে হলেও, ময়না ভাইয়ের নাম ঠাই পাইনি ওই ব্যানারে। এসব কিছুর মুলেই হচ্ছেন তানোর উপজেলা আ’ লীগ সভাপতি মাঈনুল ইসলাম স্বপন। স্বপনকে তার এমন কর্মকান্ড থেকে থামাতে না পারলে জাতীয় নির্বাচন আসতে আসতেই এমপির কাছের লোকদের কৌশলে দুরে সরিয়ে দিবে। এর ফলে আগামী নির্বাচনে ধরাসই হতে পারেন ফারুক চৌধুরী।
কলমা ইউপি বাসী বলছেন, স্বপন মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করে মাঠে নেমেছেন নিজের আঁখের গোছাতে। এর জন্য তিনি তার নিজস্ব বাহিনী তৈরি করেছেন। তাদের দিয়ে তিনি নিয়োগ বানিজ্যসহ সব ধরনের কর্মকান্ড করছেন। মঙ্গলবার সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় তিনি দর্গাডাঙ্গা বাজার পার্টি অফিসের বাইরে তার সেই বাহিনীদের নিয়ে আড্ডা দেয়ার সময় সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করা মাত্রই তিনি দলবল নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে মারমুখি ভাব মুর্তি দেখিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তেড়ে আসেন।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন কে একাধিক ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
২১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS