সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তেঁতুলিয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা বিপাকে হারেসের পরিবার 

তেঁতুলিয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা বিপাকে হারেসের পরিবার 

জুলহাস উদ্দীন উপজেলা প্রতিনিধি,  তেঁতুলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শিশুকে ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। নিজের মেয়েকে মারধরে করে তা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এমন নাটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ হারেজ নামের এক ব্যক্তির। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাফাটা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
হারেজের অভিযোগ, জয়নাল সম্পর্কে আমার চা হবেন। তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি বিরোধ চলে আসছে। সে বিরোধের জের ধরে গত ২০ মে তারিখে সে অভিযোগ করে আমরা তার ৬ বছরের মেয়ে কাজল মনিকে মারধর করে জখম করেছি। অথচ তা মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ ওইদিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। তারপরের দিন সন্ধ্যার দিকে আমি বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে চৌরাস্তা বাজারের যাওয়ার পথে তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের নিকটস্থ স্থানে দলবল নিয়ে আমাকে আটকাতে চেষ্টা করে।
বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত চৌরাস্তা বাজারে পৌছালে তার কিছুক্ষণ পর আমাকে বাজারেই দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। সে নিজের মেয়েকে বেদম মারপিট করে পিঠে রক্ত জমাট দাগ সৃষ্টি করে তা মোবাইলে ছবি তুলে তা জমাজমির সংক্রান্ত বিরোধীয় ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিতে পরিষদ, থানায় ছুটোছুটি করছে। একটি মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। ঘটনাটির সঠিক তদন্ত কামনা করছি। যদি আমি ও আমরা দোষী হই তা মেনে নিতে রাজি। কিন্তু মিথ্যে অপবাদ অসহ্যকর হয়ে পড়েছে।
হারেজের বাবা আব্দুর রশিদ জানান, জয়নাল আমার চাচা হবেন। যদিও বয়সে আমি বড়। এক সময় এক বাড়িতেই থাকতাম আমরা। পরে আলাদা জায়গায় বাড়ি করেছি। ঘটনাটি জমাজমি নিয়ে। আমাদের জমিতে আমগাছ, সে আমগাছের ডাল ও গোড়া কাটে জয়নাল। বাঁধা দিলে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তেড়ে আসে। এ পরিস্থিতি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সেদিনের ঘটনাটি একেবারেই মিথ্যা ও সাজানো।
বিষয়টি সরেজমিনে জানতে মাথাফাটা গ্রামে গেলে, প্রতিবেশি লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, শিশুকে হারেজের পরিবার মারধর করে জখম করেছে তা তারা জানেন না। তবে তারা সম্পর্কে চা-ভাতিজা। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ঘটনাটি জমি সংক্রান্ত। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে দুই পরিবারের মধ্যকার বিরোধ নিস্পত্তি করা উচিত।
তবে জয়নালের অভিযোগ, আমার মেয়ে ছয় বছরের মেয়ে কাজল মনিকে মারধর করে জখম করেছে হারেজ। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত মে মাসের ২০ তারিখে হারেজ ও তার স্ত্রী আয়শা আমার শিশুকন্যাকে আমের ডাল দিয়ে মেরে জখম করে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই। এর বিচার চেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধির কাছে গিয়েছিলাম। ৫জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ করেছি। কোন বিচার পাচ্ছি না। বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি  জানান,বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
বিষয়টির ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মনসুর আলী জানান, ভ্যানচালক জয়নালের সাথে তার ভাতিজার হারেজের পারিবারিক দ্ব›দ্ব আছে। এ নিয়ে তারা দুজনেই পরিষদে বিচারের জন্য এসেছে। গত ৪/৫ দিন আগে জয়নালের শিশুকন্যার একটি মারপিটের ছবি আমাকে দেখিয়েছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে রংপুরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় বিষয়টি তৎক্ষণাত শালীস মিমাংসা করতে পারিনি। যতদ্রুত সম্ভব পারিবারিক শালিসে বসে আপোস নিস্পত্তি করে দেব।
৩১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares