মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাওয়ালের ছয় রোজা একসঙ্গে রাখতে হবে?

শাওয়ালের ছয় রোজা একসঙ্গে রাখতে হবে?

পুরো রমজান মাস রোজা রাখার পরে শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখলে পূর্ণ এক বছর নফল রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর ধরেই রোজা রাখল। (মুসলিম : ১১৬৪)। আসলে হাদিসে পবিত্র কোরআনেরই একটি আয়াতের বক্তব্য বিবৃত হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে কেউ কোনও নেক আমল করবে, তাকে তার দশ গুণ সওয়াব প্রদান করা হবে।’ (সুরা আনআম : ১৬০)। সুতরাং রমজানের এক মাসের ১০ গুণ হলো দশ মাস আর শাওয়াল মাসের ছয় দিনের দশগুণ হলো ৬০ দিন অর্থাৎ দুই মাস। নবীজি (সা.) শাওয়াল মাসের ভেতর ছয় রোজা রাখার কথা বলেছেন। মাসের প্রথম দিকে, মধ্যভাগে না শেষাংশে সে কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। আবার ছয়টি রোজা একসঙ্গে লাগাতার রাখতে হবে, নাকি বিরতি দিয়ে দিয়ে রাখতে হবে, সে কথারও কোনও উল্লেখ নেই। তাই বিজ্ঞ ফিকাহবিদ ও আলিমগণের অভিমত হলো, যেহেতু শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব এবং ওই দিনে রোজা রাখা হারাম, সেহেতু ঈদুল ফিতরের দিনটি বাদ দিয়ে মাসের যেকোনও ছয় দিনে রোজা রাখলেই উল্লিখিত সওয়াব লাভ করা যাবে। অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথমদিকে, মাঝামাঝি দিনগুলোতে অথবা শেষদিকে, আবার একাধারে ছয় দিন অথবা এক দিন রোজা রেখে তারপর এক দিন বা দুই দিন বিরতি দিয়ে আবার এক দিন যেকোনওভাবে রোজা রাখা যাবে। শাওয়াল মাসের মধ্যে ছয়টি রোজা রাখলেই হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে।
১৭১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares