![৩০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা ভোলায় নদীতে নামার প্রস্তুতি জেলেদের ৩০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা ভোলায় নদীতে নামার প্রস্তুতি জেলেদের](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/04/Bhola-Pc-1-2.jpg)
৩০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা ভোলায় নদীতে নামার প্রস্তুতি জেলেদের
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দীর্ঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে হচ্ছে ৩০ এপ্রিল।
আর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা। মাছ শিকারের জাল, নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। জেলেরা মাছ শিকারের মধ্য দিয়ে ধার-দেনা পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেউ সারছেন জাল, আবার কেউ নৌকা, ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দুই দিন পরই নদীতে নামবেন জেলেরা। বসে থাকার যেন সময় নেই তাদের।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জেলে শফিজল ও কামাল মাঝি জানান, দীর্ঘ দুই মাস নদীতে অভিযান ছিল। তাই নদীতে যেতে পারেননি। ৩০ এপ্রিল রাত ১২টার পর নদীতে নামবেন। এর জন্য মাছ ধরার সব সরঞ্জাম প্রস্তুত করছেন তারা।
ধনিয়া ইউনিয়নের এরশাদ মাঝি জানান, দুই মাস মাছ ধরতে পারিনি। এ সময় আমাদের আয়ও বন্ধ ছিল। এতদিন মুদি দোকানের বাকি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছি। রোববার রাত ১২ টার পর নদীতে গিয়ে আশা করছি ইলিশসহ সব ধরণের বড় বড় মাছ পাবো। মাছ বিক্রি করে ধার-দেনা পরিশোধ করবো এবং আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে।
তুলাতুলি মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিল। তাই আমরা আগে ভাগেই মাছের আড়ত খুলে পরিষ্কার করে রাখছি। এ দুই মাস আমাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় অনেক লোকসান হয়েছে। আমরা আশা করছি জেলেরা নিষেধাজ্ঞার পরে নদীতে গিয়ে বেশি মাছ শিকার করবে। এতে আমাদের ব্যবসাও জমজমাট হবে। আর বিগত দুই মাসের লোকসান পুশিয়ে উঠতে পারবো।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা উৎসাহ নিয়ে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নামবে। নিয়ম মেনে জেলেরা তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করতে পারবে। এতে তাদের দুই মাসের লোকসান পুশিয়ে উঠবে।
ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তুম ১০০ কিলোমিটার তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় ভোলার সাত উপজেলার সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ১ লাখ ৫৯ হাজার জেলের মধ্যে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল ৮৯ হাজার ৪১০ জনের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।