শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রামে ১৫ বছর ধরে সাপ খেয়ে বেঁচে আছেন মোজার মিয়া।

কুড়িগ্রামে ১৫ বছর ধরে সাপ খেয়ে বেঁচে আছেন মোজার মিয়া।

এস,এ,বাবু,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি-০২-০৪-২৩ :: মোঃ মোজার মিয়া (৪৮)পেশায় একজন দিনমজুর।তিনি কোন সাপুড়ে না কিংবা সাপের খেলাও দেখাননা। কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথর ডুবি ইউনিয়নের সোনাহাট গ্রামের বাসিন্দা।দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বি়ভিন্ন প্রজাতির সাপ, বিচ্ছু, কাঁচা গরুর মাংস ও ভুরি খেয়ে জীবন যাপন করে আসছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে খাদ্যের তালিকায় ভাত মাংস খেয়ে জীবন ধারন করলেও অখাদ্য প্রাণি সাপ,ইদুর,ব্যাঙ খেয়ে সমাজের কাছে তিনি সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন।তার এই অভ্যস্ততা ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের অনেকটা কাল হয়ে দাড়িয়েছে।সাপ ভোক্ষনের কারনে দাম্পত্য জীবনে তিনি পড়েছেন নানান বিড়ম্বনায়।একাধিক বিয়ে করে ধরে রাখতে পারে নি কোন বউ।ফলে ঘর সংসারে একাকীত্বে দিনকাটছে সাপ খোকা এই মানুষটির।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাসিন্দা তিনি।নেশা তার সাপ ব্যঙ,বিচ্চুসহ কাঁচা মাংস ও ভুরি।শুধু তাই নয় মাঝে ক্ষেতে ছিটানো ডায়মোক্রম বিষাক্ত বিষ খেয়েও স্বাভাবিক জীবনরযাপন করছেন তিনি।বতর্মানে তার দুই স্থী ও ১৪ শত টাকা দিয়ে কেনা এক দত্তক ছেলে সন্ততানের বাবা।ঘরে ছেলে সন্তানের দুইটা নাতি আছে বলে জানান তিনি।

সাপ খেকো মোজারের প্রতিবেশি আশরাফুল ইসলাম বলেন,মোজাে ভাই আমার প্রতিবেশী।বিভিন্ন সময় তিনি সাপ খেয়ে থাকেন।তার এরকম অদ্ভুত খাদ্যভাস দেখতে দুরদুরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে।

মোজার মিয়া বলেন,আমি যখন ক্লাস টুতে পড়ি।তখন থেকে আমি সাপ বিচ্ছু খাই।সাপের ক্ষেত্রে বিষাক্ত সাপ আমার খুবই পছন্দ। বিষাক্ত সাপ ও বড় সাইজের যেকোন সাপের স্বাদ ছোট সাইজের সাপের তুলনায় অনেক সুস্বাদু। এই সাপ খেতে গিয়ে লোকজনের দ্বারা হাজারে বিড়ম্বনায় পড়েছি। তবুও মন মানে।

তিনি আরো বলেন,বিষধর সাপের পেটে কৃমি থাকেনা।ফলে একারনে বিষধর সাপের স্বাদ তুলনামূলক ভাবে বেশি। সাপ না খেলে শরীরে এনার্জি আসে না। যখন তখন সাপ পাওয়া যায় না ফলে সাপের অপ্রতুলার কারনে গরুর কাঁচা রক্ত ও কাঁচা ভুরি খেয়ে জীবন যাপন করে থাকেন বলে জানান মোজার মিয়া।

সোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মায়নুল ইসলাম বলেন, মোজার সাপ, ব্যাঙ,ইদুর সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী খাওয়ার কথা জেনেছি।একজন সুস্থ ব্যক্তি কখনো এ কাজটি করতে পারেন না।আমার মতে মোজার মিয়াকে চিকিৎসার পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত (প্রানি ও উদ্ভিদ) বিশেষজ্ঞ অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন বলেন,সাপ বিচ্ছু খেয়ে জীবন যাপন করা মোজারের এটি একটি বিড়ল ঘটনা।পাশাপাশি বিষাক্ততার কবলে পড়ে যেকোন মহুর্তে তিনি মারা যেতে পারেন। তবে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্থ কিনা তা চিন্তার বিষয়।

৭৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares