শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ কারখানায় নিম্নমানের গো-খাদ্য তৈরি

ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ কারখানায় নিম্নমানের গো-খাদ্য তৈরি

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কারখানায় নিম্নমানের গো-খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রি করছে প্রায় ৬/৭ টি প্রতিষ্ঠান। এতে উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার খামারীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এছাড়া সরকার হারাচ্ছে লক্ষ রক্ষ টাকার রাজস্ব। স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে মাঝে মধ্যে জরিমানা করে কিন্তু স্থায়ীভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকাÐকে দÐনীয় অপরাধ উল্লেখ করে গত বুধবার (২২ মার্চ) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় নোটিশ জারি করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার পৌর শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় গো-খাদ্য বিক্রির জন্য প্রায় অর্ধশত দোকান রয়েছে। শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে এসব দোকান। এছাড়া প্রায় ৬/৭টি প্রতিষ্ঠান ভারত সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিম্নমানের গো-খাদ্য আমদানি করে মেশিনে পুনরায় রিফাইন্ড করে প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা পাবনা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করছে। কৃতাদের কাছে বেশি দামি বিক্রি করতে বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের বস্তায় তারা নিম্নমানের গো-খাদ্য ভরে মেশিনে সেলাই করে ও স্টিকার লাগিয়েও বিক্রি করছে ।

গো-খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাহিনুর রহমান বলেন, বাজারের অনেকেই ভেজাল গো-খাদ্যের ব্যবসা করে। এটা বৈধ বা অবৈধ হোক প্রশাসন দেখবে। সাংবাদিক দেখার কেউ না। ইউএনও এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সবই জানে। এখন থেকে আমার প্রতিষ্ঠানে কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে দেবো না।

আরেকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, মোবাইলে ছবি দেখে ভারত থেকে গো-খাদ্য আমদানি করা হয়। তাই মাঝে মাঝে নিম্নমানের খাদ্য আসলে তা রিফাইন করে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির বস্তা ব্যবহার করা হয়। তবে ক্রেতাদের এই খাদ্য ভারতের এলসি পণ্য বলেই জানানো হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ভাঙ্গুড়া গো-খাদ্য উৎপাদন কিংবা বাজারজাতকরণ কাজে জড়িত কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কিংবা দেশের বাহির থেকে পণ্য আমদানি করার লাইসেন্স নেই। অথচ তারা ভারতের পণ্য দেশে এনে বিক্রি করছেন। তাই এটি দÐনীয় অপরাধ উল্লেখ করে সবাইকে নোটিশ করা হয়েছে। দÐনীয় অপরাধ হলে বছরের পর বছর কিভাবে চলছে এমন কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান খান বলেন, এ সকল প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুমোদন না থাকায় কিছুদিন আগে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে। বর্তমান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে চ‚ড়ান্তভাবে আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares