বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নেত্রকোণায় সাংবাদিকদের কর্ম-বিরতি ও প্রতিবাদ সভা

নেত্রকোণায় সাংবাদিকদের কর্ম-বিরতি ও প্রতিবাদ সভা

এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোণা : নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালের কর্ম-বিরতি ও প্রতিবাদ সভা পালন করছেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।

বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় কর্ম-বিরতি পালন কর্মসূচি। জেলা প্রেসক্লাবের নিচ তলায় চলা কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী। কর্ম-বিরতি চলাকালে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, প্রেসক্লাবের সদস্য নয় এমন এক ব্যাক্তি কর্তৃক দায়ের করা মামলায় আদালত প্রেসক্লাবের নির্বাচনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান সকলের কাছে প্রহসন মূলক মনে হয়েছে। এছাড়াও উক্ত চক্রটি প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। এ ধরণের অপ-প্রচার ও প্রহসন মূলক আদেশ আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। প্রেসক্লাবের সদস্যরা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিলসহ প্রেসক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিভ্রান্তি মূলক অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার হুশিয়ারী প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২২ মার্চ নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার আবেদন করে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সদস্য হওয়ার মতো যোগ্যতা না থাকায় এবং প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে নানা ধরণের পদক্ষেপ নেয়ায় প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সভায় ‘যায় যায় দিন পত্রিকার’ প্রতিনিধি চন্দন চক্রবর্তীকে সদস্য পদ না দেয়ার রেজুলেশন এবং প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় প্রেসক্লাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। চন্দন চক্রবর্তীর করা ভিত্তিহীন এক মামলার প্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুল ইসলাম উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচনে ভোট গ্রহনের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।

৭৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares