মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহীতর বাঘায় একটি ছাগলের ৭টি বাচ্চা প্রসবঃ

রাজশাহীতর বাঘায় একটি ছাগলের ৭টি বাচ্চা প্রসবঃ

কাজী এনায়েত, সিনিয়র রিপোর্ট রাজশাহীঃ

রাজশাহী জেলার বাঘায় এক ছাগলের ৭ বাচ্চা হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইদের তিনদিন আগে এই বাচ্চার জন্ম হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকা থেকে নারী-পুরুষ বাচ্চাগুলোকে দেখতে ভিড় করেন। এঘটনা ঘটেছে উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি বিনিময়পাড়া গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি বিনিময়পাড়া গ্রামের মৃত আবদুল জলিল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া বেগমের ইচ্ছায় নিজ গ্রামের মকসেদ আলীর কাছে ১০ বছর আগে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি ছাগল কিনেন। তারপর থেকে প্রতিবার ৩/৪ টি করে বাচ্চা দেয়।

এবার এক সাথে ৭টি বাচ্চা দিয়েছে। ৭টি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর মা ছাগল ও বাচ্চাগুলো সুস্থ আছে এবং স্বাভাবিক চলাফেরা করছে। এই ছাগলের বাচ্চাগুলো বড় হলে বিক্রি করে সংসারে ও দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ করেন।

সিরাজুল ইসলামের তিন সন্তান। এরমধ্যে বড় মেয়ে সারমিনকে বিয়ে দিয়েছেন। মেজো মেয়ে এসএসসি পাস করে নার্সিংএ ভর্তির জন্য জেলা শহরে কোচিং করছে। ছোট ছেলে সোহাগ আহমেদ আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির পড়ছে। সিরাজুল ইসলাম ভটভটি গাড়ি চালায়। আবার কোন কোন সময়ে বাজারে বাদাম বিক্রি করে।

ছাগলের মালিক সিরাজুল ইসলাম ও স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, আল্লাহর অশেষ রহমতে ৭টি ছাগলের বাচ্চা হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। ছাগলটি কয়েক বারে মোট ৪০টির মতো বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। বাচ্চাগুলো বড় হলে বিক্রি করে সংসারে ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ করি। বর্তমানে প্রতিদিন বাচ্চাগুলোর জন্য দুধ লাগছে ১২০ টাকা। আমি অল্প আয়ের মানুষ। নিজের সংসারের খরচের সাথে বাচ্চার দুধ কিনতে একটু কষ্টই হচ্ছে।

আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক জানান, আলেয়া বেগমের ছাগলের ৭টি বাচ্চা হয়েছে। তারপর থেকে বাচ্চাগুলো দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ আসছেন। আমি নিজেও দেখেছি।

এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমার এলাকায় এ ধরনের একটি ছাগলের ৭টি বাচ্চা এই প্রথম। বাচ্চাগুলোর সঠিক পরিচর্চা নেওয়ার জন্য আমি তার বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে এসেছি।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান জানান, একটি ছাগল চারটি পর্যন্ত বাচ্চা জন্ম নেওয়া স্বাভাবিক। কখনও পাঁচটিও হয়। তবে ৭টি বাচ্চা জন্ম নেওয়া ব্যতিক্রম, তবে অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঘটনাটি জানার পর ছাগলের মালিককে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া সময় পেলে তার বাড়িতে গিয়ে ছাগলগুলো দেখে আসবো বলে জানান।

৩৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares