![তানোরে খাস জায়গা বন্ধক দিয়ে ভূমিদস্যু হাফেজের প্রতারণা তানোরে খাস জায়গা বন্ধক দিয়ে ভূমিদস্যু হাফেজের প্রতারণা](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/01/IMG_20230123_115951.jpg)
তানোরে খাস জায়গা বন্ধক দিয়ে ভূমিদস্যু হাফেজের প্রতারণা
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে কথিত শতবর্ষী পরিবারের মদদে প্রতারণা করে এক নম্বর খতিয়ান ভুক্ত সরকারি খাস সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার ভূমিহীন হতদরিদ্ররা পরিবারের শেষ সম্বল গরু-ছাগল বিক্রি ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারকের হাতে তুলে দিয়ে এসব জমি বন্ধক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। কথিত শতবর্ষী পরিবারের শরিফুল হাতুড়ের নেপথ্যে মদদে এসব অপকর্ম করা হয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়রা কথিত শতবর্ষী পরিবার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের প্রকাশনগর মৌজায় জেল নম্বর ৮৭ ও এক নম্বর সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত ৪৫ নম্বর দাগে মোট দুই একর ৫০ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে এবং এখানো এক একর ৭০ শতক খাস জমি রয়েছে। গ্রামবাসী জানান, কথিত শতবর্ষী পরিবারের শরিফুল হাতুড়ের মদদে প্রকাশনগর গ্রামের মৃত হানিফ মন্ডলের পুত্র হাফেজ আলী প্রতারণা করে আলাউদ্দিনের পুত্র লাল বাবুর কাছে এক লাখ টাকায় সরকারি খাস জমি বন্ধক দিয়েছেন। অন্যদিকে গ্রামের মৃত আবির আলীর পুত্র গাফ্ফার আলী প্রতারণা করে মেরুর পুত্র রজব আলীর কাছে এক লাখ টাকায় সরকারি খাস জমি বন্ধক দিয়েছেন। এছাড়াও এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫৭ নম্বর দাগে কবরস্থানের জায়গা দখল করে হাফেজ আলী আরসিসি পিলার দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করার পাশাপাশি বিশাল টিনের ঘর নির্মাণ করেছেন।এদিকে ইতমধ্যে উপজেলা প্রশাসন এসব খাস জায়গায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করেছেন। এতে সরকারি খাস জায়গা বন্ধক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুমিহীন পরিবারগুলো। তারা জায়গাও পাচ্ছেন না,আবার তারা টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এবিষয়ে জানতে চাইলে হাফেজ আলী বলেন, তিনি ৮০ হাজার টাকায় এসব জমি বন্ধক দিয়েছেন। তিনি বলেন, টাকা ফেরত দেয়া না দেয়া সেটা আমি বুঝবো।তিনি বলেন, এসব তার উপজেলা প্রশাসন জোর করে সেখানে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করতে চাইছে। এবিষয়ে গাফ্ফার বলেন, তার বন্দোবস্তকৃত জমি শরিফুল হাতুড় নিয়ে তাকে এই জমি দিয়েছে।তিনি এক লাখ টাকায় বন্ধক দিয়েছেন এখন শুনছেন এসব খাস জমি। এবিষয়ে স্থানীয় ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) রাবিউল ইসলাম বলেন, প্রকাশনগর মৌজায় খাস জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জমিতে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন,সরকারি খাস সম্পত্তি বন্ধক দেবার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯১ বার ভিউ হয়েছে