বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে মাদকের টাকার জন্য পিতাকে হাতুড়ি পেটা 

তানোরে মাদকের টাকার জন্য পিতাকে হাতুড়ি পেটা 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মাদকের টাকা না পেয়ে পিতা জামাল উদ্দিনকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুত্র বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন(ইউপির)  সুড়িপুকুর নামক স্থানে  ঘটে পিতাকে পেটানোর ঘটনাটি। এঘটনায় জামাল উদ্দিনের ছোট ছেলে জুয়েল রানা বাদি হয়ে বড় ভাই মাদকাসক্ত উজ্জলকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগের ৬ দিনেও রহস্যজনক কারনে মামলা রেকর্ড হয় নি। এতে করে বাদি ও পিতা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। ফলে দ্রুত মামলা রেকর্ড করে আসামী আটকের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ কারি জুয়েল জানান, আমার পিতা জামাল উদ্দিনকে আমার বড় ভাই মাদকের টাকার জন্য প্রায় সময় চাপ দিতে থাকেন। এঅবস্থায়   চলতি মাসের ৪ মার্চ উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির সুড়িকুড়ি নামক জায়গায় জৈনক আনসারের বাড়ির কাছে আমার পিতাকে একা পেয়ে ভাই উজ্জল মাদকের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।  দিতে অস্বীকার করলে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সাথে সাথে আমার পিতা মাটিতে নুয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার পিতাকে মেরে ফেলার জন্য বড় চাচা আলাল ও আরেক চাচার বউ পারুল প্রতিটি সময় ভাইকে কুপরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাদের কারনেই আমার ভাই এসব করছে। এখন ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ঘটনার দিন বিকেলে থানায় অভিযোগ করলেও মামলা নিচ্ছেনা থানা পুলিশ। দুই দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে বাবাকে নিয়ে এসেছি। চলাফেরা করতে পারছেনা এবং ভালো ভাবে কথাও বলতে পারছেন না।
অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির চান্দুড়িয়া নামোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন। তার বড় ছেলে মাদক সেবনকারী উজ্জল মাঝেমধ্যেই পিতাকে টাকার জন্য গালমন্দ করে থাকেন।
তবে উজ্জল মাদকের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার মা মারা যাওয়ার পর আরেকটি বিয়ে করে। ওই পক্ষের ছেলে জুয়েল। সে কিছু দিন আগে কাউকে না জানিয়ে বাবার কাছ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। তার অনেক ঋন জমি বিক্রির জন্য বাবা চাপ দিচ্ছে। এসব শুনে আমি বাবা বলেছি আমিওতো সন্তান এভাবে জমি দেওয়া যাবে না। এনিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার হাতে হাতুড়ি বা হ্যামার ছিল সেটা মাথায় লেগে ক্ষত হয়। এঘটনায় ছোট ভাই মাদকের কথা বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমাকে জেলে দিবে,আমিও কোর্টে প্রতারনা মামলা করব।
স্থানীয়রা জানান, এঘটনার একদিন আগে ৩ মার্চ চান্দুড়িয়া বাজার এলাকার বাহাদুর তার পিতা আশরাফ খানকে মাথায় বাশেঁর লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায় এবং সেলাই দেওয়া লাগে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়। কিন্তু এখন বলছে মিমাংসা করে নিতে হবে। বিচারহীনতার জন্য এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বাহাদুরকে যদি আটক করা হত তাহলে উজ্জল তার পিতাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতো না। এসব ঘটনাই যদি মামলা না হয়, আটক না হয় তাহলে যাবে কোথায়। কিছুই বলার নেই তারাই সব, চোখ আছে দেখে যাও কান আছে শুনে যাও, প্রতিবাদ করলেই আসামি। জন্মদাতাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে, আর বিচার পাচ্ছে না।
থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়ার সরকারী মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares