বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আশুগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ২০, বাজারে অগ্নিসংযোগ, ১০ দাঙ্গাবাজ আটক

আশুগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ২০, বাজারে অগ্নিসংযোগ, ১০ দাঙ্গাবাজ আটক

মোঃ ফারুক মিয়া আশুগঞ্জ থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পূর্ব বিরোধের জেরে প্রায় ৪০টি দোকান এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের  ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এসময় আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকান এবং  প্রায় ২৭টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের রেলগেইট থেকে স্কুল ছাত্র রিমন সিএনজি করে দূর্গাপুর গ্রামে আসেন। এসময় সিএসজি চালক রহুল আমিন ২০টাকার স্থলে অতিরিক্ত ১০ টাকা বেশি ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এসময় কথাকাটির এক পর্যায়ে স্কুল ছাত্র রিমনকে মারধর করে সিএনজি চালক রুহুল আমিন। পরবর্তীতে স্কুল ছাত্র রিমন বিষয়টি তাদের দূর্গাপুর গ্রামের হাজী বংশের বংশের মিজান মিয়া মেম্বারকে অবগত করে। মিজান মিয়া মেম্বার বিষয়টি সিএনজি চালক রহুল আমিনের বংশ জারু মিয়া বাড়ীর প্রধান দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল মিয়াকে অবগত করে ফেরার পথে মিজান মিয়া মেম্বারের উপর হামলা চালায় চেয়ারম্যানের লোকজন। এই খবর পেয়ে হাজীর বংশ ও চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী জারু মিয়ার বাড়ী বংশের লোজজন সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এই ঘটনার জের ধরে আবার এর পরদিন শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আবারও দুই বংশের লোকজন দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর একটা পর্যন্ত চলা সংর্ঘষে আহত হয় আরও ৩০ জন। এই সময় সংর্ঘষটি পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের পক্ষে গ্রামের অন্য বংশগুলো সংর্ঘষে অংশগ্রহন করে। তবে হাজী বংশের পক্ষে মোল্লাবাড়ি, হাজী ইউসূফ পাড়া ও শরিয়ত উল্লাহ পাড়া এবং জারু মিয়া বংশের পক্ষে নজর বাড়ি, মুন্সিবাড়ি, বামুমুন্সির বাড়ি ও নূরারপাড় বাড়ি লোকজন অংশ গ্রহন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রনে আনে।
এই ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন আজ বুধবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে মেম্বারের গোষ্ঠীর একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে জানতে দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল মিয়ার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। ইউপি সদস্য মিজান মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমরা সেখানে গিয়েছি। মুদি, ফার্মেসিসহ বিভিন্ন প্রকার ১৩টি দোকান অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে। আমাদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দমকল বাহিনীর দল অংশ গ্রহণ করে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) জয়নাল আবেদীন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আশুগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে

১৯০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares