মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বেসরকারী বিদ্যুৎ প্রকল্প বাশঁখালীর এস,এস,পাওয়ার প্ল্যান্ট জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হল।

বেসরকারী বিদ্যুৎ প্রকল্প বাশঁখালীর এস,এস,পাওয়ার প্ল্যান্ট জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হল।

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) থেকেঃ নানান আলোচনা সমালোচনা ও জনমনে অনিশ্চয়তার কালোমেঘ দূরীভূত করে অবশেষে জাতীয় গ্রীডের ৪০০ কেভি সঞ্চালক লাইনে সংযুক্ত হল চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষে গন্ডামারা বড়ঘোনায় প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ ১৩২০ মেঃওঃ বেসরকারী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট।
১৪ জানুয়ারী’২৩ ইং শনিবার বেলা ১.৫৫ মিনিটে পাওয়ার প্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ(পিজিসিবি)র প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খাঁনের নেতৃত্বে সরকার গঠিত ব্যাক ফিড কমিটির নয়জন সদস্য
 এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে এসে সুইচ অন করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই সংযোগ ঘটান। এর পর পরই এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। পাওয়ার প্ল্যান্টটি মূল উৎপাদনে যেতে কমিশনিং শুরু হবে ১৬ জানুয়ারী সোমবার থেকে। আর বিদ্যুতের মূল উৎপাদনে যাবে আরো ৩ মাস পর এপ্রিলে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ লিঃ ও চীনের সেপকো-থ্রি’র যৌথ মালিকানাধীন দেশে বেসরকারী পর্যায়ে সর্ববৃহৎ ১৩২০ মেঃওঃ শক্তিসম্পন্ন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের উপকূলীয় বাঁশখালী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা গন্ডামারা বড়ঘোনা এলাকার ৬০০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রকল্পটি। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি তিন শতাংশ কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরিন রাস্তা ও নালা তৈরির কাজ, যা দ্রুত শেষ হবে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
এটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সুপার ক্রিটিকেল প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। নতুন এই প্রযুক্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে উঠছে।
বাংলাদেশে সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে  এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানানো হয়েছে। ’বিদেশী ব্যাংকের অর্থায়ন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে এটাই প্রথম। বাংলাদেশের অন্যান্য কয়লাচালিত প্লান্টে বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে বেশি। বেসরকারী পাওয়ার প্ল্যান্ট এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদনে গেলে বিদ্যুৎ বানিজ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্ঠি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প।
সরকারের ফীড ব্যাক কমিটির প্রধান পিজিসিবি’র প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান বলেন, ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট আজকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হলো। পর্যায়ক্রমে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট ও এস আলম গ্ৰুপের পরিচালক শহীদুল আলম বলেন, ‘এটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
১৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS