বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পায়রা নদীর ভাঙ্গনে বেরিবাঁধসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে

পায়রা নদীর ভাঙ্গনে বেরিবাঁধসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ; পটুয়াখালীর পায়রা নদীর ভাঙ্গনে ৩০০ মিটার বেরিবাঁধসহ বিশাল এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চান্দখালী এলাকায় পায়রা নদীতে অন্তত ৩০০ মিটার ওয়াপদা বেরিবাঁধসহ বিশাল এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। পায়রা নদীতে সা¤প্রতিক কয়েকটি ড্রেজার ও বলগেটে অবাধে বালু কেটে নেয়া আকস্মিক ভাঙ্গণের কারণ বলে ধারণা স্থানীয়দের।

চান্দখালীর বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার জানান, তার মেঝেতে ফাটল, বসতঘর ও রান্নাঘর ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে। বেরিবাঁধসহ বিশাল এলাকা নদীতে ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে তার বাড়ির অধিকাংশজুড়ে বিরাট ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

অপর বাসিন্দা সানু হাওলাদার জানান, তার রান্নাঘর ও গোয়ালঘরসহ বিশাল অংশজুড়ে ফাঁটল ধরায় তিনি বসতঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। পায়রা নদীর আকস্মিক ভাংগনে হুমকির মুখে থাকা চান্দখালী এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার তাদের ভিটিবাড়ি হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, পরিবারের নারী-পুরুষ শিশুসহ সবার চোখে-মুখে আতঙ্ক। বাড়ি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি প্রভাবশালী চক্র কয়েকটি ড্রেজার ও বলগেট লাগিয়ে ওই এলাকার পায়রা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি ড্রেজার মেশিন ও বলগেটে বালু কাটার ফলে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছেন পায়রা পাড়ের অসহায় মানুষ।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গাজী মো. নজরুল ইসলাম বেরিবাঁধ ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তীরবর্র্তি লোকজনকে দ্রæত নিকট দূরত্বে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একইসাথে বালু উত্তোলন বন্ধে ড্রেজার কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

ড্রেজার মালিক আবুল কালাম আজাদ’র (কালাম মৃধা) মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করার কারনে তার কোন বক্তব্য সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

২৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS