বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বেনাপোল বন্দরের শেডে কোটি কেটি টাকার আমদানিকৃত গাড়ি অরক্ষিত থাকায় চুরি হচ্ছে গাড়ির মুল্যবান যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারী

বেনাপোল বন্দরের শেডে কোটি কেটি টাকার আমদানিকৃত গাড়ি অরক্ষিত থাকায় চুরি হচ্ছে গাড়ির মুল্যবান যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারী

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা : বাংলাদেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৫ একর টিটিবি এর অরক্ষিত শেডে কোটি কেটি টাকার আমদানিকৃত গাড়ি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। যে কারনে চুরি হচ্ছে গাড়ির মুল্যবান যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারী। দীর্ঘ দিনের চোর চক্র এখনও সক্রিয়। কোটিকোটি টাকা খরচ করে বন্দরের শেড গুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও কতৃপক্ষের উদাসিনতায় কোন এক অদৃশ্য কারনে আজও চোর চক্র ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাই এ বন্দরের চুরি কোন অবস্থাতেই বন্ধ হচ্ছে না। বেনাপোল বন্দরে বহুবার রক্ষিত মালামাল চুরির অভিযোগ থাকলেও আজ অবধি কোন চোর ধরা পড়েনি। ধরা পড়েনি চোরের গডফাদাররা। এজন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনেক আমদানিকারক তাদের আমদানিকৃত পন্য স্থান পরিবর্তন করে অন্য বন্দর দিয়ে খালাস করছেন।বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যাবসায়ী মেসার্স আজমিরি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালক (ট্রাফিক) স্থলবন্দর বেনাপোল বরাবর এক লিখিত অভিযোগে জানানগেছে, তাদের আমদানিকারক রোডস এন্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্ট সড়ক ভবন তেজগাঁও ঢাকা ভারত থেকে ৬৫ ইউনিট নতুন ক্রেন আমদানি করেছেন। আমদানিকৃত এ ক্রেন গুলি বন্দরের ২৫ একর টিটিবি এ রক্ষিত আছে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি ক্রেনের জন্য প্রতিদিন ৩ হাজার ৫০ টাকা করে বন্দর চার্জ গুনতে হয় আমদানিকারককে। ফলে এক একটি ক্রেনের জন্য প্রতিদিন হিসেবে এত গুলো টাকা বন্দর চার্জ দিলেও বন্দর কতৃপক্ষের কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। যে কারনে প্রতিদিন অরক্ষিত বেনাপোল বন্দরের ২৫ একর টিটিবি থেকে নতুন নতুন গাড়ি থেকে ব্যাটারি, সেলফসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা । যার কোন প্রতিকার নেই। মেসার্স আজমিরি ইন্টারন্যাশনাল জানান, তাদের সরকারী আমদানিকৃত ক্রেনের টুল বক্স ভেঙ্গে একাধিক ব্যাটারি ও সেলফ চুরি করে নিয়ে গেছে। যে কারনে তারা পন্য চুরির ক্ষতি পূরনের জন্য পরিচালক (ট্রাফিক) স্থলবন্দর বেনাপোল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। সেই সাথে তাদের পন্য সু রক্ষায় ২৫ একর টিটিবি সেডে সিকিউরিটি গার্ড দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এর একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে চুরি হলেও তা বন্ধ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে বেনাপোল বন্দরের চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী লেবার এসব পন্য চুরির সাথে জড়িত। আর এসব চুরি নিয়ন্ত্রন ও ভাগ বাটোয়ারা করে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী,শেড ইনচার্জ, স্থানীয় সরকারী দলের কিছু নেতা কর্মি, কিছু সিএন্ডএফ কর্মচারী, আনসার ও নিরাপত্তা প্রহরি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যাবসায়ী মেসার্স আজমিরি ইন্টারন্যাশনাল প্রোপাইটার ও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েমনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের ভারত বলেন , দীর্ঘদিন ধরে একটি সংগবদ্ধ চোরচক্র বেনাপোল স্থলবন্দরের ভিতর ও বাহির থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার পন্য চুরি হলেও এক অদৃশ্য কারনে তা সনাক্ত করা হয় না। তিনি বিষয়টি কতৃপক্ষের মাধ্যমে বন্দরেরগোয়েন্দা সংস্থা, সি আই ডি, পিবিআই দিয়ে পন্য চুরির তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন বন্দরে রকোটিকোটি টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও পন্য চািরতে তার কোন সুফল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছে না। এ জন্য বেনাপোলের সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা হতাস হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন বন্দরে পন্য চুরি বন্ধ না হলেবেনাপোলের সকল ব্যবসায়ী সংগঠন নিয়ে আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প পথ থাকবে না। বেনাপোল বন্দরে পন্য চুরির ব্যাপারে জানার জন্য পরিচালক (ট্রাফিক) স্থলবন্দর বেনাপোল এর মনিরুজ্জামানের অফিসেগেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি তার ফোনও রিসিভ করেননি।

৬৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares