বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ, বিভাগীয় তদন্ত শুরু

শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ, বিভাগীয় তদন্ত শুরু

শার্শা(যশোর) থেকেঃ যশোরের শার্শায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তার নেতৃত্তে¡ দ্বিতীয় দফা তদন্ত সম্পন্ন হলেও (আজ সোমবার) আজ আবারও তদন্ত টিম শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরে সাবেক কর্মকর্তা গোলাম শরীফ এর উপস্থিতিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তগোগি এ প্রতিনিধিকে বলেন আমাদের কে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে সাবেক কর্মকর্তার নির্দ্দেশে সিসি টিসি সাইদুর রহমান ও নলকূপ ম্যাকানিক সিরাজুল ইসলাম রনির নিকট নলকূপ বাবদ ১০ হাজার টাকা ও অতিরিক্ত ১০-৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। বর্তমানে শার্শা উপজেলার শতাধিক ভূক্তভোগি সাবেক কর্মকর্তা কর্মচারিদের অনিয়ম দূর্নীতি ও গ্রাহদের অর্থ আত্মসাথ করার অভিযোগে একযোগে বদলী করায় সাধারণ গ্রাহকদের দেওয়া অর্থ ফেরত বা নলকূপ ও পাচ্ছে না, সাধারণ ভুক্তভোগি জনগন প্রতিনিয়ত শার্শা জনস্বাস্থ্য অফিসে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে। এব্যাপারে শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মৌসুমী হালদার জানান অনিয়ম দূর্নীতি ও সাধারণ জনগনের অর্থ আত্মসাথের অভিযোগে তৎকালিন অফিস সহকারী সিসি টিসি সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত হয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা গোলাম শরীফ, নলকূপ ম্যাকানিক সিরাজুল ইসলাম রনি ও মারুফ হোসেনকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। উক্ত কর্মকর্তা সহ-কর্মচারীদের এলপিসি প্রদান উপজেলা প্রশাষনের নির্দেশে বন্ধ আছে। বর্তমানে অফিস সহকারী সিসি টিসি সাইদুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে অফিসে অনুউপস্থিত থাকায় অফিসের সংরক্ষিত পন্যাগারের চার্জ বুঝে দেননি। উলে­খিত দূর্নিতীবাজ কর্মকর্তাদের কারণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরটি বিভাগীয় সুনাম শূন্যের কোঠায় দাড়িয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে অনিয়ম দূর্নিতী ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্মনয় সভায় সিদ্ধান্ত মতে জেলা কর্মকর্তাকে বদলী ¯’িগত করার বিষয়টি রেজুলেশন অন্তর ভুক্ত হলেও তা কার্যকর হয়নি। বর্তমানে নবাগত কর্মকর্তা অফিসের অনিয়ম অব্যবস্থাপনা সহ পূর্বের কর্মকর্তাদের সকল দায়ভার মাথায় নিয়ে চার্জ বুঝে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রতারিত এলাকাবাসী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারান চন্দ্র পাল বলেন বিষয়টি গত সমন্বয় মিটিংএ আলোচনা করা হয়েছে, সকল গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাসিক সমন্বয় সভার রেজুলেশন কপি সংযুক্ত করে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া কয়েক জনের বেতন প্রদান বন্ধ করা হয়েছে, এবং সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরে যেসকল ভুক্তভোগিরা আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল নেওয়ার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করে ছিল তাদের মধ্যে ১৫ জনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় উঠে আসবে প্রকৃত দোষী কারা। এ ব্যাপাারে উপাজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন জনগণের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ উদ্ধার করার জন্য ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্ঐ দুনীর্তিবাজ কর্মকতাদের এলপিসি দেওয়া হয়নি।

 

৭৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares