বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেনবাগে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ককে হাত-পা বেঁেধ কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা

সেনবাগে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ককে হাত-পা বেঁেধ কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সেনবাগের কাবিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহিরকে অপহরণ করে হাত-পা বেঁধে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চালিয়েছে একদল সস্ত্রাসী। হামলার পর জহিরকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশ্চে পেলে রেখে গেলে স্থানীয়রা তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সএ পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে । তার অবস্থা আশঙ্কা জনক এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনী বলে জানায় পরিরারের সদস্যরা।

ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সেনবাগ পৌরসভার অজুনতলা গ্রামে। ওই হামলার জন্য জহিরের সমুন্ধী রায়হান ও তার লোকজনকে দায়ী করেছে জহিরের পরিবার। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবীতে সেনবাগের ছমির মুন্সিরহাট বাজারে রাথ ৯টারদিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কাবিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহিরের সঙ্গে চৌধুরী ব্রিক নামের একটি ইটভাটার মালিকানা নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন সমন্ধী রায়হানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধেকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ইটভাটাটি বন্ধ রয়েছে। এই নিয়ে বেশ কয়েক দফা শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে জহির তার মানিত শালিশদার সেনবাগ পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারী শাহরিয়ার আলমগীর আলোর সেনবাগ পৌরসভার অজুনতলার বাসা থেকে শালিশ বিষয়ে পরামর্শ করে বের হয়ে পৌর শহরস্থ আবুল খায়ের ডিলারের বাড়ির সামনে পৌছলে জহিরের সমুন্ধী হায়হারের নেতৃত্বে ৮/১০জনের একদল সন্ত্রাসী তারা মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে এলোপাথাড়ী মারধর করে একটি মাইক্রো যোগে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। এবং হাত-পা বেঁধে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় জহির জ্ঞান হারিয়ে পেললে অপহরণ কারীরা তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর লোহার পোল নামকস্থানে খালের পাড়ে পেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত রায়হানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবী করে বলেন, তিনি বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি হামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিষার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী হামলার ঘটনাটি জেনেছেন বলে জানান।এবং এবিষয়ে অভিযোগ দিলে প্রযোজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

৭৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares