শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চালু হচ্ছে না মাদারীপুর সদর হাসপাতাধলের বর্ধিত অংশ \ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি হচ্ছে নষ্ট

চালু হচ্ছে না মাদারীপুর সদর হাসপাতাধলের বর্ধিত অংশ \ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি হচ্ছে নষ্ট

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নতিকরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে সুদৃশ্য ভবন। কেনা হয়েছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। তবে উদ্বোধনের আগেই অযতœ অবহেলায় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি হচ্ছে নষ্ট। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ভেঙ্গে গেছে নব নির্মিত হাসপাতালের দরজা ও জানালা।

স্থানীয়দের দাবী, যাদের অবহেলায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে তাদের বিচারের আওতায় আনার। সাথে দ্রæত হাসপাতাল চালু দাবী রয়েছেই। আর মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জানালেন জনবল সংকটের কারণে শুরু করা যাচ্ছে না নতুন ভবনের কার্যক্রম।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে জানা যায়, ২০১৯ সালে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবন। রোগীর সেবার জন্য সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হয় ভবনটি। কেনা হয় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এর মধ্যে সিটি স্ক্যান মেশিন কেনা হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে। এছাড়াও ডিজিটাল এক্সে-মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, আধুনিক জেনারেটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি রয়েছে হাসপাতালের নতুন ভবনে। ব্যবহার না করায় অযতœ-অবহেলায় অধিকাংশ যন্ত্রপাতি নষ্টের উপক্রম। হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতির উপর পড়ছে পানি। ভেঙ্গে গেছে হাসপাতালের দরজা, জানালা। স্থানীয়দের দাবী, দ্রæত হাসপাতাল চালু করার।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবু বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নতুন ভবনটি চালু না করায় নতুন ও দামী যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। আর আমরাও উন্নত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাছাড়া নতুন ভবনটিও ময়লা ও অপরিস্কারের ভরে যাচ্ছে। তাই এটা দ্রæত চালুর দাবী জানাই।

হাসপাতালটি চালু না হওয়াতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। নষ্ট হচ্ছে মুল্যবান যন্ত্রপাতি। তাই হাসপাতাল চালুর দাবী নিরাপদ চিকিৎসা চাই-এর মাদারীপুর শাখার সভাপতি এ্যাড মশিউর রহমান পারভেজ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ভবন তৈরির পরও লোকবল কম থাকায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না। ফলে দামী দামী যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আশা করছি দ্রæত এটি চালু করার।

এ ব্যাপারে সির্ভিল সার্জন ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, ‘২৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য দরকার ২৬৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারি। রয়েছে মাত্র ১৩৩ জন। তাই জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। তবে আগামী এক/দুই মাসের মধ্যে আংশিকভাবে ৫০ বেডের কার্যক্রম চালু করা হবে এবং আস্তে আস্তে এর কার্যক্রম বাড়ানো হবে।’

তিনি আরো বলেন, আমি যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে দেখেছি। আশা করছি বড় ধরণের কোন সমস্যা হয়নি।

এদিকে নতুন ভবনটি চালু হলে ফরিদপুর ও বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগির চাপ কমবে বলেও বিশেষাজ্ঞদের মতামত রয়েছে। তাই সব বাধা অতিক্রম করে দ্রæতই মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

৩৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS