![নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় এক ছাত্রীসহ ৪ শিক্ষার্থীকে ১০ বছরের আটকাদেশ নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় এক ছাত্রীসহ ৪ শিক্ষার্থীকে ১০ বছরের আটকাদেশ](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/09/Nator-1.jpg)
নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় এক ছাত্রীসহ ৪ শিক্ষার্থীকে ১০ বছরের আটকাদেশ
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইসাহাক আলী, ১৪ সেপ্টেম্বর- টোরের বাগাতিপাড়ার এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় সহযোগী এক ছাত্রীসহ ৪ শিক্ষার্থীকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিমের আদালত। তিনি আজ দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে একই কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বাগাতিপাড়ার স্যাপার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের তুষার ২০১৭ সালের ১২ জুলাই পানির বোতলে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে সিএনজি যোগে নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই নির্জন বাড়িতে তুষার ও তার ৩ বন্ধু মিলে ছাত্রীটিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে এ সময় ওই ছাত্রীর সহপাঠি মেঘলা তার ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে তুষার তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে ভাইকে অপহরণের ও ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ওই ছাত্রীকে ২০ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই কাদিরাবাদ সিএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এছাড়া বান্ধবী মেঘলার সহায়তায় ভিডিও ছড়িয়ে ভয় দেখিয়ে ২০১৭ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে। এই পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ৬ আগস্ট সকালে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই তাকে বগুড়া সিএমএস আদালতে ভর্তি করে তার পরিবার। এ সময় চিকিৎসকরা জানান, তার মেয়ের গোপন অঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়ায় সে আরো অসুস্থ্য হয়েছে। পরে বিষয়টি জানায় ওই শিক্ষার্থী। সেখানে ১৭দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে পরিবারকে সব খুলে বলে সে। এ ঘটনায় ১৭ সালের ২৪ আগষ্ট তুষার , তার বন্ধু ইমন ও তুষার ইমরান এবং মেঘলাকে আসামী করে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা করে। তুষার আলী কাদিরাবাদ স্যাপার কলেজের তৎকালীন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও নাটোরের লাপুরের ডাঙ্গাপাড়ার মহরম আলীর ছেলে, ইমন হোসেন একই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও রাজশাহীর বাগমারার শ্রীবতীপাড়া গ্রামের ওবাইদুর রহমানের ছেলে, মেঘলা খাতুন ছাফিয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও লালপুরের পুকুরপাড়া গ্রামের আনতাজ আলীর মেয়ে এবং তুষার ইমরানও প্রথম বর্ষের ছাত্র ও নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
এ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর ৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ১০ বছরের আটকাদেশ প্রদান করেন।