শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, English Version

শার্শায় ৪৫ বছর পর রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করেছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা

শার্শায় ৪৫ বছর পর রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করেছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শায় ৪৫ বছর পর হাস্যকর একটি রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করেছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। ইতোপূর্বে সরকারী খাস সম্পত্তি হওয়ায় নিয়মতান্ত্রিক ও আইনগত ভাবে কবুলিয়ত নামা দলিলের মাধ্যমে একশনা বন্দোবস্ত প্রদান করেন জেলা প্রশাষক, বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ ইং তারিখে। পরবর্তিতে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে ১৫ বছরের জন্য বন্দোবস্ত প্রদান করেছেন ঐ সম্পত্তি। শার্শা উপজেলা সদরে স্থায়ী বসবাস কারী ফজলুর রহমান পিং- মৃত আব্দুল গফুর ২০০৯ সালে মাঠ জরিপের সময় বন্দোবস্তকৃত দলিলের দলিল মুলে নিজ নামে মাঠ জরিপ রেকর্ড করে নেয়। একটি কু চক্রি মহলের প্ররোচনায় উক্ত সম্পত্তি যাতে ফজলুর রহমান রেকড করতে না পারেন সে জন্য ১৯৫৫ সনের প্রজাসত্ত¡ আইনের ৩০ ধারায় আপত্তি মামলা দায়ের করেন শার্শা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা যাহার অনাপত্তি নং ৪০১। ২০০৮ সালের ২৩ আগষ্ট সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা উভয় পক্ষের রেকর্ড পত্র যাচাই অন্তে ফজলুর রহমানের নামে চুড়ান্ত রেকর্ড প্রদান করেন। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর পূর্বে জেলা প্রশাষকের মাধ্যমে স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি নিজ নামে চুড়ান্ত রেকর্ড এবং খাজনা পরিশোধের মাধ্যমে দাখিলা গ্রহন করার পর ৪৫ বছর পর পুনঃ স্থানীয় কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে হয়রানি করার জন্য পাকিস্থান আমলের একটি তামাদি পর্চা সংযোজন করে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা দিয়েছেন। যাহার মামলা নং- ৫৩৫/২১, তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১। ৭২ নং শার্শা মৌজার ১নং খতিয়ানের সাবেক ১২৫৫, হাল ২৩৩৬ দাগের ৩৫ শতক বাস্তুভিটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছে ফজলু রহমান ও তার সন্তানেরা। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নিকট এক স্বাক্ষাতকারে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশেই রেকর্ড সংশোধনীর জন্য মামলা করা হয়েছে।

 

বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS